তার দেয়া অভয়েই আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিলো লাল সবুজের দল। সতেজতা ফিরেছিলো তামিম, সাকিব, মুশফিকদের জীর্ণ আত্মবিশ্বাসে।
কাজও হলো বিস্তর। ওয়ানডে তো বটেই, ক্রিকেটের যে ফরম্যাটটে তারা পুঁচকেদের সামনেও হরহামেশাই খাবি খায়, সেই টি-টোয়েন্টিতেও হারিয়ে দিলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের! বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চত্বরে সেই গল্পই শোনোলেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল।
‘আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে মাশরাফি ভাইয়ের দলে যোগ দেয়া বড় অবদান ছিল। তিনি হয়তো অন্যের হয়ে ব্যাটিং ও বোলিং করে দেয়নি। কিন্তু তিনি দলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ পরিবর্তন করতে অনেকে সাহায্য করেছেন। একটা বাজে টেস্ট সিরিজের পর প্লেয়ারদের মধ্যে অনেক নেতিবাচক মনোভাব থাকে, পরিষ্কার মনোভাব থাকে না। তিনি যেই ইতিবাচক মনোভাবটা নিয়ে এসেছেন, সেটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এটা বড় কারণ ছিল। এরপর যেভাবে করে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটা খেললাম, কঠিন উইকেটে আমরা কোনো সময় হাল ছেড়ে দেইনি। ’
বলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধান্বিত হননি টেস্ট সিরিজে দলের পারফরম্যান্স আপ টু দ্য মার্ক ছিলো না।
‘আমাদের টেস্ট সিরিজ যতটা ভালো খেলা উচিৎ ছিল তার আশেপাশেও খেলতে পারিনি। অনেকে উইকেট ও বলের (ডিউজ) কথা বলছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমরা এরচেয়ে আরও ভালো খেলতে পারতাম। উইকেট কঠিন ছিল, কিন্তু যেমন খেলেছি এর থেকে ভালো দল আমরা। আর টেস্ট সিরিজে মানসিকভাবে আমরা ডাউন ছিলাম। ’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ হতে না হতেই টাইগারদের এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হচ্ছে। মাত্র ১ মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হবে। এই লক্ষ্যে ২৭ অগাস্ট মিরপুরে শুরু হবে অনুশীলন ক্যাম্প।
তবে সেই পর্যন্ত বসে নেই তামিম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে ১৪ আগস্ট হোম অব ক্রিকেটে ব্যাটিং অনুশীলন করে গেছেন। আজও এসেছিলেন। মিরপুর জাতীয় একাডেমি মাঠে ঘণ্টারও বেশি ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। লক্ষ্য হয়তো একটাই, দু’বার হাতফসকে যাওয়া এশিয়া শিরোপাটি যেন এবার ঘরে আসে।
গৌরবের এই মিশনে তিনি আপাতত নিশানা তাক করেছেন গ্রুপ পর্বের প্রখম দুই ম্যাচের দিকে, ‘প্রথম দুই ম্যাচ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ডে কোয়ালিফাই করতে হবে। আমাদের প্রস্তুতিটা হচ্ছে সেই জন্যই। আমরা যদি এখন ফাইনাল কিংবা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চিন্তা করি যেটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য আমাদের প্রথম দুই ম্যাচ জিততে হবে। প্রথম দুই প্রতিপক্ষ নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা করা উচিৎ। ’
গ্রুপে বাংলাদেশ ১৫ সেপ্টেম্বর দুবাইতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে। আর আবুধাবিতে ২০ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, ১৬ আগস্ট, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস