ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

রিয়াদ-ইমরুল জুটিতে বাংলাদেশের ২৪৯

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
রিয়াদ-ইমরুল জুটিতে বাংলাদেশের ২৪৯ ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ছিলেন ইমরুল-ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: এশিয়া কাপে টিকে থাকার ম্যাচের পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারানোর পর ১৯ ও ২১তম ওভারে পরপর তিন উইকেট হারিয়ে দলকে অবর্ণনীয় চাপ এনে দিয়েছিলেন সাকিব, মুশফিক ও লিটন দাস। সেখান থেকে দৃঢ় ব্যাটে দলকে টেনে তুলে ২৪৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দিলেন দুই অভিজ্ঞ টাইগার ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস।

রিয়াদের ব্যাট থেকে এসেছে অমূল্য ৭৪ রান। তবে শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকতে পারেননি।

৪৭তম ওভারে আফতাবের বলে রশিদ খানের ক্যাচ হয়ে ফেরেন। তবে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ছিলেন ইমরুল। দায়িত্বশীল ব্যাটে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে সংগ্রহ করেছেন মহামূল্যবান ৭২ রান।

দু’জনের এমন দায়িত্বশীল ব্যাটে ৭ উইকেটের বিনিময়ে আফগানদের বিপক্ষে এই সংগ্রহ পায় কোচ সস্টিভ রোডসের শিষ্যরা।

তবে এও ঠিক ১৯তম ওভারে রশিদ ঘূর্ণিতে ক্রমাগত বিপদজনক হয়ে ওঠা লিটন ৪১ রানে ফিরে গেলেও তার ওই ওভারে হন্তদন্ত হয়ে ছোটা সাকিব (০) ও একওভার বিরতিতে সেট ব্যাটসম্যান মুশফিকও (৩৩) রান আউট না হলে দলীয় সংগ্রহের ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হতে পারতো।

তবে শতক, অর্ধশতক করতে না পারলেও এই ম্যাচটি দিয়েই বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫ হাজার রানে ঘরে ঢুকেছেন মুশফিকুর রহিম।

রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) আফগানদের বিপক্ষে এই ম্যাচে রিয়াদ তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০তম অর্ধশতক। এই রান সংগ্রহে তিনি খেলেছে ৫৯টি বল। যেখানে কোনো ৬’র মার ছিলো না। ছিলো শুধু ৩টি চারের মার।

এর আগে আবুধাবি শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই হারায় ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে। ৫ম ওভারে আফতাব আলমের একেবারে শেষ বলটি কাভারে উঠিয়ে দিলে তা তালুবন্দি করেন রহমত শাহ। ফিরে যান ব্যক্তিগত ৬ রানে।

ঠিক তার পরের ওভারেই মুজিব উর রহমানের স্পিনে ব্যক্তিগত ১ রানে এলবি’র ফাঁদে পড়েন মোহাম্মদ মিঠুন।  

পা হড়কেছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকও। তখন তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৯। ১২.৫ ওভারে মুজিব উর রহমানকে কাট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঠিকমতো খেলতে পারেননি। বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে কিপার মোহাম্মদ শাহজাদের পায়ে লেগে যায় প্রথম স্লিপে। কিন্তু মুঠোবন্দি করতে পারেননি।

১৯তম ওভারে বল হাতে এসে বাংলাদেশ শিবিরকে বিপর্যস্ত করে তোলেন আফগান লেগি রশিদ খান। একেবারে প্রথম ওভারের ৪ নাম্বার বলে ব্যক্তিগত ৪১ রানে ইহসানুল্লাহর হাতে তুলে দেন বিপদজনক হয়ে ওঠা লিটন দাসকে।

দুই বল বিরতিতে রানআউটের ফাঁদে পড়ে শূন্য রানে ফিরে যান সাকিব। এক ওভার পরেই বিতর্কিত রানআউট ফাঁদে পড়েন সেট ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।

ষষ্ঠ উইকেটে ইমরুলকে সঙ্গে নিয়ে ১২৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে ২১৫ রান এনে দিয়ে রিয়াদ ফিরে যান। পরের উইকেটে ২১ রান যোগ করে ব্যক্তিগত ১০ রানে আফতাবের শিকার বনে যান মাশরাফি।

তার বিদায়ের পর মিরাজ নেমে ইমরুলের সঙ্গে ২৩ রান যোগ করে দলকে ২৪৯ রান এনে দিয়ে ইনিংসের সমাপ্তি টানেন। মিরাজের সংগ্রহ ছিল অপরাজিত ৫ রান।

আফগান বোলারদের মধ্যে পেসার আফতাব আল সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। রশিদ ও মুজিব নেন একটি করে উইকেট।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।