ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

বল টেম্পারিংয়ের দায় নিয়ে অজি বোর্ডপ্রধানের পদত্যাগ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৮
বল টেম্পারিংয়ের দায় নিয়ে অজি বোর্ডপ্রধানের পদত্যাগ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ডেভিড পিভার-ছবি: সংগৃহীত

বল টেম্পারিং ইস্যুর দায় নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ডেভিড পিভার। তিন বছরের জন্য পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ পরই পদ ছাড়তে হলো তাকে।

সাম্প্রতিক সময়ে বল টেম্পারিং ইস্যু অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে টালমাটাল করে দিয়েছে। পিভারের সরে দাঁড়ানোর পেছনেও ওই ঘটনার ভূমিকা আছে।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার গভর্নিং বডি বল টেম্পারিং নিয়ে স্বাধীনভাবে রিভিও করে। সেই রিভিও করতে গিয়ে অজি ক্রিকেট দলে ‘যেভাবে হোক জিততেই হবে’ এমন সংস্কৃতির খোঁজ পায় তারা। আর এই জয়ের জন্য যেকোনো কিছু করতে গিয়েই বল টেম্পারিংয়ের মতো ঘটনা বাড়ছে। আর প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখা ও অহংকার করার মতো ঘটনাও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে।  আর এর দায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার গভর্নিং বডির ঘাড়েই বর্তানো হয়।

অস্ট্রেলিয়ার ছয় রাজ্যের তিনটি থেকেই পিভারের চেয়ারম্যান পদের বৈধতা নিয়ে অনাস্থা প্রকাশ করা হয়। এরপরই তড়িঘড়ি করে আয়োজিত এক বোর্ড মিটিংয়ে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন পিভার। সাময়িকভাবে পিভারের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তারই ডেপুটি আর্ল এডিংস।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মাত্র দ্বিতীয় চেয়ারম্যান হিসেবে তিন বছর মেয়াদে টানা দু’বার দায়িত্ব সামলাতে যাচ্ছিলেন পিভার। কিন্তু হয়েছে উল্টোটা। তিনি বরং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ১১৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে মেয়াদ শেষ করার আগেই বিদায় নিতে বাধ্য হলেন।

পিভারের বিদায় অজি ক্রিকেটে বেশকিছু পরিবর্তন আনতে পারে। বিশেষ করে ছেলেদের ক্রিকেটের দুই অধিনায়ক টিম পেইন, অ্যারন ফিঞ্চ, কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার এবং নতুন নির্বাহী রবার্টস, যিনি কিছুদিন আগেই জেমস সাদারল্যান্ডের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন, তাদের পদ পরিবর্তন এখন সময়ের ব্যাপার।

২০১২ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ায় যুক্ত হন পিভার। ২০১৫ সালে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে ফেলেন তিনি। তার আমলেই ক্রিকেটারদের বিতর্কিত বেতন-ভাতা ইস্যু, দক্ষিণ আফ্রিকায় বল টেম্পারিং কাণ্ড (যার জেরে নিষিদ্ধ হন সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন বেনক্রাফট, সরে দাঁড়ান কোচ ড্যারেন লেহম্যান) এবং সম্প্রচার নিয়ে গোপন আলোচনা ফাঁস হয়ে যাওয়া অন্যতম। তার সময়েই অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় বোর্ডের সঙ্গে রাজ্য ক্রিকেট বোর্ডের দূরত্ব বাড়তেই থাকে। এবার সব বিতর্কের অবসান ঘটাতে সরেই যেতে হলো পিভারকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।