ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

হাবিবুলের কীর্তি ছুঁলেন মাশরাফি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
হাবিবুলের কীর্তি ছুঁলেন মাশরাফি হাবিবুল বাশারের কীর্তি ছুঁয়েছেন মাশরাফি

আগের ম্যাচে ২০০তম ওয়ানডে খেলতে নেমে অনন্য মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন তিনি। আর এবার দ্বিতীয় ম্যাচে টস করতে নেমে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের কীর্তি ছুঁয়েছেন বর্তমান টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক।

মিরপুরে মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচটি অধিনায়ক মাশরাফির জন্য বিশেষ।

কারণ এই ম্যাচ দিয়েই অধিনায়ক হিসেবে ৬৯তম ওয়ানডে ম্যাচে টস করতে নেমেছেন তিনি।  

বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এই কীর্তি আছে আর মাত্র একজনের। সেই একজন আবার মাশরাফিরই সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের। বর্তমানে টাইগারদের নির্বাচক হিসেবে দায়িত্বরত বাশারও ঠিক ৬৯ ম্যাচে টস করতে নেমেছিলেন। তবে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেই রেকর্ডটি নিজের করে নেবেন ‘ম্যাশ’।  

অধিনায়ক মাশরাফির এই ৬৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া মোটেই সহজ ছিল না। ২০০১ সালে দলে সুযোগ পাওয়ার পর একের পর এক ইনজুরি কাটিয়ে ২০০৯ সালে নেতৃত্ব পান। কিন্তু সেবার অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই চোটে পড়ে দল থেকে ছিটকে যান। সেই চোট তাকে দীর্ঘ দিন দলের বাইরে রাখে।  

এরপর ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ক্রিকেটে নেতৃত্বে আসেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। সেবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেই জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ, যা টেস্ট খেলুড়ে সব দেশের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ এনে দেয়। ওই সফরে আইরিশ ও ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচ মিলিয়ে ৬টি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।  

২০১০ সালের অক্টোবরে দেশের মাটিতে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্বের ভার বহন করেন মাশরাফি। কিন্তু সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ফের চোট পেয়ে ছিটকে যান। এরপর দীর্ঘ সময় দলের বাইরে থাকার পর ফিরলেও ফের ঘরোয়া ক্রিকেটে পাওয়া চোটে ছিটকে পড়েন। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ২০১১ সালের দলেও জায়গা হারান তিনি।

কিন্তু মাশরাফি লড়াকু ক্রিকেটার। ঠিকই সব বাধাবিপত্তি কাটিয়ে আবার দলে ফেরার পর  ২০১৪ সালে তার কাধেই দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়। এরপরই তার বীরের বেশে উত্থান। খেলে যাচ্ছেন টানা। তার অধীনে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালও খেলেছিল বাংলাদেশ। মাঝে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার পর শুধুই ওয়ানডে নিয়ে ব্যস্ত তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে মাত্র তিনটি ম্যাচ ছাড়া সব ম্যাচেই টস করতে নেমেছেন।

পরিসংখ্যানের বিচারে অধিনায়ক মাশরাফি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা। ৬৯তম ম্যাচ খেলতে নামা মাশরাফির ঝুলিতে আছে ৩৯টি জয়। বাশারের ঝুলিতে সমান ম্যাচে জয় ২৯টি। তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ৫০ ম্যাচে  জয় এসেছিল ২৩ ম্যাচে। এরপরে ৩৭ ম্যাচে ১১ জয় নিয়ে চতুর্থ স্থানে মুশফিকুর রহিম।  

আগামী ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মাশরাফি। আর তাহলে রেকর্ডটি যে আরও সমৃদ্ধ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।