গত কয়েকদিন ধরেই বয়সজনিত নানান অসুখে ভুগছিলেন আচরেকার। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতের ক্রিকেটাঙ্গনে।
ক্যারিয়ারে মাত্র ১টি প্রথমশ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও আচরেকারের সবচেয়ে বড় অবদান শচীনকে খুঁজে বের করা। তার কাছেই হাতেখড়ি হওয়ার পর বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করেছেন অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান, যাকে বলা হয় কিংবদন্তি অজি ক্রিকেটার স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পর সবচেয়ে সেরা ব্যাটসম্যান।
বর্তমানে অবসরে থাকা শচীন প্রায় সব ব্যাটিং রেকর্ডের মালিক বনে গেছেন। তার ঝুলিতে সবচেয়ে বড় দুই অর্জন হলো টেস্ট (১৫,৯২১) ও ওয়ানডে (১৮,৪২৬) ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এছাড়া আরও বহু রেকর্ডের মালিক শচীন একদম শৈশবে ব্যাটিং শিখেছিলেন আচরেকারের হাত ধরেই। মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্কে শচীনকে ব্যাটিংয়ে পারঙ্গম করার প্রথম টোটকাও তিনিই দিয়েছিলেন। ক্রিকেটবিশ্বের সবচেয়ে নামী তারকা হয়েও নিজের গুরুকে কখনো ভুলেন নি শচীন। সুযোগ পেলেই ছুটে যেতেন গুরুর আশীর্বাদ নিতে।
২০১০ সালে ভারতের বেসরকারি সম্মান পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হন আচরেকার। শচীন ছাড়াও তার হাত ধরে ক্রিকেটে পা রাখেন ভিনোদ কাম্বলি, প্রাভিন আমরে, সামির দিগের মতো ক্রিকেট তারকারা।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এমএইচএম