ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিপিএলে দর্শক খরার কারণ জানালেন মুশফিক

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
বিপিএলে দর্শক খরার কারণ জানালেন মুশফিক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন মুশফিক-ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার। কিন্তু ৫ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের শুরু থেকে গড়ে দর্শক ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার। ম্যাচের সময় একটা বড় কারণ হলেও এই দর্শক খরার কারণ আছে আরও। এমনটাই জানালেন মুশফিকুর রহিম।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ৫ রানে হারে মুশফিকের চিটাগং ভাইকিংস। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন চিটাগং অধিনায়ক নিজেই।

কথা বলেন দলের দুর্বলতা, পিচের অবস্থা ও দর্শক খরা নিয়ে।

প্রতি আসরের মতো করেই এবারের বিপিএলেও সমালোচনায় পড়েছে মিরপুরের উইকেট। এ প্রসঙ্গে মুশফিক অবশ্য উইকেটের থেকে ক্রিকেটারদের মানিয়ে নেওয়াকেই বেশি প্রাধান্য দিলেন। বললেন, ‘আমার মনে হয় উইকেটের চেয়ে প্লেয়ারদের এডাপ্টিবিলিটি বাড়ানো উচিত। বিশ্বে যেসব টি-টোয়েন্টি খেলা হয়, সেখানে অনেক রান হয়। আমাদের এখানে একটু ভিন্ন। আমরা তো জানি আমাদের এখানে কি কন্ডিশন, এখান থেকে কি আসতে পারে, বোলার বা ব্যাটসম্যান কি আশা করতে পারে। '

'আমাদের মানিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য আরও বাড়ানো উচিত। সে অনুযায়ী যদি খেলতে পারি তাহলে এই স্কোরগুলো আরও বড় হতো। সেটা হলে দর্শকরাও আরও বেটার ম্যাচ দেখতে পারবে। ’

এ প্রশ্নের লেজ ধরেই আসে দর্শক খরার প্রসঙ্গ। তবে দর্শকদের মাঠে না আসার কারণটা মুশফিকের কাছে একটু ভিন্ন। বলেন, ‘গ্যালারী তো খালিই থাকবে ভাই। সবাই এখন মোবাইলে লাইভ দেখতে পারে, বাসায় বসে বসে আরামে দেখতে পারে। যখন বাইরে কাজ করে তখন টিভিতে দেখে বা মোবাইলে দেখে। এই কারণেও হতে পারে। আগে আবাহনী-মোহামেডানের খেলা হতো। লিগের খেলা যদি দেখেন তা তো কোথাও দেখার সুযোগ থাকতো না। তখন অনেক দর্শক হতো। আর এখন এখানে এসে জানে যে...'

'আর সারা বছর আন্তর্জাতিক খেলা এত হয় যে এখন দর্শক ভাবে এখন একটু রেস্ট নিই, আন্তর্জাতিক খেলা হলে দেখব। আমি দর্শকদের উদ্দেশ্যে এটাই বলব এত বড় বড় প্লেয়ার আসছে- স্মিথ, ওয়ার্নার, রাসেল, পোলার্ড তাদের খেলা যদি মাঠে বসে না দেখেন তাইলে আর কোথায় দেখবেন?’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
এমকেএম/এমএইচএম    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।