খুলনার ছুড়ে দেওয়া ১৮২ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। তামিম ও আনামুল মিলে ওপেনিং জুটিতে তুলে ফেলেছিলেন ১১৫ রান, তাও মাত্র ১২ ওভারেই।
চলতি আসরে নিজের প্রথম ফিফটির দেখা পাওয়া বাঁহাতি ড্যাশিং ওপেনার তামিম মাত্র ৪২ বলে ৭৩ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথ দেখিয়ে বিদায় নেন। লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গার শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১২ চার ও ১ ছক্কার মার।
তামিমের বিদায়ে খেই হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা। কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন আনামুলও। খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেওয়ার আগে ৩৭ বলে ৫ চারে ৪০ করেন এই ডানহাতি ওপেনার।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শামসুর রহমান (১) ও লিয়াম ডসন (৪)। শামসুর কাটা পড়েন রান আউটের খাড়ায় পড়ে। আর ডসনকে তুলে নেন পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান। কুমিল্লার অন্যতম ভরসা শহীদ আফ্রিদি ৯ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১২ রান করে ওই জুনায়েদের বলেই বিদায় নেন।
১৮.৩ বলে ১৬৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারানো কুমিল্লা এরপর একই ওভারে হারায় জিয়াউর রহমানের (০) উইকেট। তবে অন্য প্রান্তে ছোট্ট এক ক্যামিও ইনিংস খেলে ২ বল বাকি থাকতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন থিসারা পেরেরা। ৯ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন এই লঙ্কান অলরাউন্ডার।
খুলনার জুনায়েদ খান ৪ ওভারে ৩২ রান খরচ করে তুলে নেন ৪ উইকেট। বাকি ২ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন মালিঙ্গা ও মাহমুদউল্লাহ।
ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন তামিম ইকবাল।
এর আগে জুনায়েদের ৪১ বলে খেলা ৭০ রানের ইনিংসে ভর করে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান সংগ্রহ করেছিল খুলনা। রান আউট হয়ে বিদায় নেওয়ার আগে তার ইনিংসটি ৪ ছক্কা ও ৪ চারে সাজিয়েছিলেন জুনায়েদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান এসেছিল আল-আমিনের ব্যাট থেকে। মাত্র ১৯ বলে খেলা এই ইনিংসে চারের মার ছিল ৪টি আর ছক্কা ১টি।
বল হাতে কুমিল্লার শহীদ আফ্রিদি ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন ওয়াহাব রিয়াজ আর ১ উইকেট গেছে সাইফউদ্দিনের দখলে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
এমএইচএম