টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে সিদ্ধান্ত নেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সিলেটে বিপিএলের দ্বিতীয় পর্বে এটিই শেষ ম্যাচ।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি চিটাগং। দলীয় ১৭ রানে শরিফুল ইসলামের বলে বিদায় নেন ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট। ১২ বলে ১৩ রান করেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান।
তবে ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শাহাজাদকে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে ফেরান তাইজুল ইসলাম। ১৭ বলে দুটি চার ও সমান ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এই আফগান।
এরপর জুটি গড়ে দলকে সামাল দেন ইয়াসির আলী ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা ৮৩ রান তোলেন।
দারুণ খেলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন দেশীয় তরুণ ইয়াসির। মাত্র ৩৪ বলে দেখা পান টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটির। পরে ৩৬ বলে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৪ করে ডেভিড উইসির বলে আউট হন এই ডানহাতি।
২৯ বলে ঝড়ো হাফসেঞ্চুরির দেখা পান দলনেতা মুশফিকুর রহিম। আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও দারুণ ব্যাটিং করে ফিফটি তুলে নেন তিনি। প্রোটিয়া পেসার উইসির শিকারেই ৩৩ বলে আটটি চার ও এক ছক্কায় ৫২ করে বিদায় নেন মুশি।
মুশফিক ফিরলেই ব্যাটে ঝড় চলতে থাকে দাসুন সানাকার। তাকে সঙ্গ দেন নজিবুল্লাহ জাদরান। দুজনেই অপরাজিত থেকে দলকে দেন চলতি আসরের সর্বোচ্চ ও বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সানাকা ১৭ বলে ৪২ ও জাদরান ৫ বলে ১৬ রান করেন।
বিপিএল টেবিলে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে চিটাগং ভাইকিংসের বর্তমান অবস্থা চার নম্বরে। চার ম্যাচে তিন জয়ের বিপরীতে এক হারে ছয় পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। তবে মাহমুদউল্লা’র খুলনার অবস্থা খুবই নাজুক। ছয় ম্যাচে এক জয়ের বিপরীতে পাঁচ হারে একেবারে তলানিতে দলটি।
চিটাগং ভাইকিংস একাদশ:
মোহাম্মদ শাহাজাদ (উইকেটরক্ষক) ক্যামেরন ডেলপোর্ট, ইয়াসির আলী, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোসাদ্দেক হোসেন, দাসুন শানাকা, নাঈম হাসান, সুনজামুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ।
খুলনা টাইটান্স একাদশ:
জুনায়েদ সিদ্দিকী, পল স্টারলিং, আল আমিন, ব্র্যান্ডন টেইলর (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আরিফুল হক, ডেভিড উইসি, শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, লাসিথ মালিঙ্গা, সুবাশিষ রায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯
এমএমএস/এমকেএম