লক্ষ্যটা নেহায়েত ছোট নয়। রাজশাহী কিংসের দেওয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কিছুটা ধীরস্থিরভাবেই শুরু করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
অপর ওপেনার বিজয় আরও কিছুটা সময় চেষ্টা করলেও ফিরে যান তিনিও। ২২ বলে ২৬ রান করে রায়ান টেন ডেসকাটের বলে নাফিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। বিজয়ের ফেরার মাত্র ৮ বল পরই ফিরে যান শামসুর রহমান। আরাফাত সানির বলে আউট হয়ে ফেরার আগে শামসুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪ রান।
নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে কুমিল্লা। মাত্র ৭ বল খেলে ১২ রান করে ফেরেন জিয়াউর রহমান। বড় স্কোরের আভাস দিলেও ১৫ রানের বেশি আসেনি ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে। ১০ বল খেলে একটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকিয়ে কাইস আহমেদের বলে ফেরেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
পরের বলেই কাইস ফেরান থিসারা পেরেরাকেও। সুযোগ তৈরি করেন আসরের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের। তবে ওভারের শেষ বলে এই উইকেট পাওয়ায় সুযোগটা থেকে যায় পরের ওভারের জন্য। কিন্তু সুযোগটা আর হয়ে উঠল না।
একাধিক চার-ছক্কায় রানের চাকা বেশ সচল রাখেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি ও লিয়াম ডসন। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমান তার তৃতীয় ওভারে রানের চাকা একেবারেই থামিয়ে দেন বলা যায়। আর এর পরের এক ওভারেই আফ্রিদি ও ডসন দুজনকেই ফিরিয়ে দেন ডানহাতি পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১৫ বলে ১৯ রান করে আফ্রিদি ও ১৪ বলে ১৭ রান করে ফেরেন ডসন।
শেষে পর্যন্ত ১৩৮ থামে কুমিল্লার রান। ৩৮ রানে জয় পায় মেহেদি হাসান মিরাজের রাজশাহী।
রাজশাহীর হয়ে একাই চার উইকেট তুলে নেন রাব্বি। দুটি করে উইকেট নেন ডেসকাট ও কাইস। একটি উইকেট পান আরাফাত সানি।
লরি ইভান্সের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও রায়ান টেন ডয়েসকাটের অন্যবদ্য হাফসেঞ্চুরিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের ভালো সংগ্রহ পেয়েছিল রাজশাহী কিংস। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে কোনো ব্যাটসম্যানের এটিই প্রথম সেঞ্চুরি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রাজশাহী কিংস ম্যাচের মধ্যদিয়ে ঢাকায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় পর্ব শুরু হয়। যেখানে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি রাজশাহী। দলীয় ১৩ রানেই ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস ও ওয়ানডাউনে নামা অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বিদায় নেন। নাফিস ব্যক্তিগত ৫ রানে মেহেদি হাসানের বলে বোল্ড হন। আর শূন্য রানে মিরাজকে ফেরান লিয়াম ডসন। টিকতে পারেননি মার্শাল আইয়ুবও। ২ রান করে ইংলিশ স্পিনার ডসনের বলে বোল্ড হন।
কিন্তু এর পরের গল্পটা শুধুই রাজশাহীর দুই ব্যাটসম্যান লরি ইভান্স ও রায়ান টেন ডেসকাটের। চতুর্থ উইকেট জুটিতে কুমিল্লা বোলারদের হতাশ করে দুজনে তোলেন ১৪৮ রান। সেঞ্চুরি করেন অপরাজিত থাকেন ইংল্যান্ড ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যাটসম্যান ইভান্স। ৬২ বল খেলে ৯টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১০৪ রানের ইনিংস সাজান তিনি।
জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ফরম্যাটেই অভিষেক না হওয়া ইভান্স টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। ইভান্সের পাশাপাশি দারুণ খেলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ডেসকাট। ৪১ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৯ রানের হার নামা ইনিংস খেলেন এই ডাচ তারকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘন্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এমকেএম/এমএইচএম