২০১৬ সালের মার্চ থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড সফর করেছে। তবে এই সফরগুলোতে সাদা পোশাকে পেসাররা মিলে রান দেওয়ার উৎসবে মেতেছিলেন।
২০১৭ সালের নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজে ভয়ঙ্কর সময় কাটিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও শুভাষীশ রায়রা। পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেনরা কিছুটা উন্নতি করেন। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আবু জায়েদ রাহি সামান্য সফলতা পেলেও তার সমর্থনে কেউ এগিয়ে আসেননি। অপরদিকে ঐ সফরেই ক্যারিবিয়ান শেনন গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচ ও জেসন হোল্ডাররা বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে তছনছ করেছিলেন।
একইরকমভাবে বাংলাদেশের চলমান কিউই সফরে হ্যামিল্টনের প্রথম টেস্টে সফলতা পান স্বাগতিক পেসার ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি ও নেইল ওয়াগনার। যেখানে আবু জায়েদ, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদরা মিলে ৮৭ ওভারে ৩৬৯ রান গচ্চা দেন। এই বোলাররা প্রতিপক্ষের ব্যাটিং শিবিরে কোনো ত্রাসই ছড়াতে পারেননি। ফলে কিউইরা প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭১৫ রানের পাহাড় গড়ে। এটি আবার দলটির টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ডও।
এতকিছুর পরও বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ কোয়ার্টনি ওয়ালশ তার শিষ্যদেরই পক্ষ হয়ে কথা বলছেন। তবে তার দাবি, এই পেসাররা একসঙ্গে অনেকগুলো টেস্ট খেললে ভালো করবে।
ওয়ালশ বলেন, ‘আপনি যদি তাদের সমর্থন দেন ও ঠিক কন্ডিশনে তাদের অনুশীলন করান, তবে তারা উন্নতি করবে। তারা একসঙ্গে কয়েকটি ম্যাচ খেলবে এটাই আমি চাই। গ্রুপ হয়ে একসঙ্গে এটি পাঁচ অথবা দশটি হতে পারে। একসঙ্গে কয়েকটি ম্যাচ খেললে তারা ভালো করবে, নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা আরও বাড়বে। এটা বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে। ঘরের মাটিতে কখনো একজন পেসার বা কখনো কেউই খেলে না। তবে বিদেশের মাটিতে তাদের একসঙ্গে খেলতেই হবে। ’
হ্যামিল্টনে বোলারদের ব্যর্থতার ম্যাচেও ভালো করেছে ব্যাটসম্যানরা। তবে ইনিংস পরাজয় এড়াতে পারেনি সফরকারীরা। আগামী ৮ মার্চ ওয়েলিংটনে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। দেখা যাক এই ম্যাচে ওয়ালশের দাওয়া কাজে লাগাতে পারে কিনা বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
এমএমএস