ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ৭ম ম্যাচে সোমবার (১১ মার্চ) ফলুল্লায় আবাহনীর ছুড়ে দেওয়া ২৮৬ রানের জবাবে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে উত্তরা। ২৯ রানেই ৪ উইকেট হারানো দলটি ম্যাচে ফিরতেই পারেনি।
বল হাতে এদিন আবাহনীর সব বোলারই অসাধারণ বোলিং করেছেন। বিশেষ করে রুবেল হোসেন। উত্তরার ২ ওপেনারকেই নিজের শিকার বানানো এই ডানহাতি পেসার শেষ পর্যন্ত নিজের উইকেটের ভাণ্ডারে যোগ করেছেন আরও এক উইকেট। সবমিলিয়ে ৫ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রান খরচে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
বল হাতে জাদু দেখিয়েছেন সাব্বির রহমানও। মাত্র ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই পার্ট-টাইম বোলার। ৫ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন আরিফুল হক। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাজমুল ইসলাম ও সানজামুল ইসলাম। প্রত্যেকেই ওভার পিছু ৪-এর চেয়ে কম রান খরচ করেছেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২২ রানেই ওপেনার কৌশল সিলভার উইকেট হারায় আবাহনী। তবে এরপর ৮৯ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান ওপেনার জহুরুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। জহুরুল ৪৫ রান করে আউট হলেও শান্ত দলকে ২০০ পার করে বিদায় নেন। আউট হওয়ার আগে ম্যাচের সর্বোচ্চ ৮৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৮৪ বলের ইনিংসটি ৭টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কায় সাজানো।
আবাহনীর হয়ে ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ও সাব্বির রহমানও। দুজনেই করেছেন ষাটোর্ধ্ব রান। ৬৫ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৫৪ রান করেছেন মোসাদ্দেক। অন্যদিকে মাত্র ৩৫ বল খেলে অপরাজিত ৬১ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস উপহার দেন সাব্বির। তার এই ইনিংসটি ৪ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে সাজানো।
বল হাতে উত্তরার নাহিদ হাসান ৩ উইকেট নেন। তবে তার খরুচে বোলিং উইকেট নেওয়ার কীর্তিকে ম্লান করে দেয়। ১০ ওভারে ৭০ রান খরচ করেন এই পেসার। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আব্দুর রশিদ ও মোহাইমিনুল খান।
এই জয়ে ২ ম্যাচ থেকে পুরো ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষস্থান আরও সংহত হলো আবাহনীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
এমএইচএম