২৩১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি প্রাইম দোলেশ্বরের। দলীয় ১৬ রানে ওপেনার সৈকত আলীর উইকেট হারায় তারা।
তৃতীয় উইকেট জুটিতেও প্রতিরোধ গড়েন সাইফ ও মার্শাল আইয়ুব। দু’জনের ব্যাটেই প্রাইম দোলেশ্বরের জয়ের কাজটা সহজ হয়ে যায়। ৮৯ রান যোগ করেন তারা। ব্যক্তিগত ৩২ রানে করে দলীয় ১৫৬ রানে পারভেজ রাসুলের বলে আউট হন মার্শাল আইয়ুব। এরপর লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাইফ। তবে ইসিংসটাকে আর বড় করতে পারেননি তিনি। ১০২ রান করে দলীয় ১৮৯ রানে আউট হন সাইফ। এরপর জয়ের বাকি কাজটুকু সেরেছেন অধিনায়ক ফরহাদ রেজা ও সাদ নাসিম। ৪২ রানের জুটি গড়ে ২৫ বল হাতে রেখে দলকে জয় এনে দেন তারা। সাদ ৩৫ ও ফরহাদ ১০ বলে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। গাজী গ্রুপের কামরুল ইসলাম রাব্বি ২টি এবং মেহেদি হাসান ও পারভেজ রাসুল ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২২ রানের মধ্যে দুই ওপেনার মাইশুকুর রহমান ও মেহেদি হাসানের উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ। এরপর ইমরুল কায়েস (১৪) ও রনি তালুকদার (১৭) দ্রুত বিদায় নিলে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিযে চাপে পড়ে তারা। পঞ্চম উইকেটে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় গাজী গ্রুপ। ১০৪ রানের জুটি গড়েন শামসুর রহমান ও পারভেজ রাসুল। অর্ধ-শতক তুলে নেন পারভেজ। দলীয় ১৫৩ রানে পারভেজ ৬৭ রান করে আউট হন।
এরপর তৌহিদ হৃদয় ও শামসুল ইসলাম বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি ক্রিজে। শামসুর রহমান ৪৫ রান করে দলীয় ১৬৭ রানে বিদায় নেন। নবম উইকেটে ৪৪ রান যোগ করেন আবু হায়দার ও নাসুম আহমেদ। মূলত এই দুজনের ব্যাটে ২০০ রানের কোটা পেরোয় গাজী গ্রুপ। নাসুম ১৯ ও আবু হায়দার ২৯ রানে আউট হলে ৪৯ ওভার ১ বলে ২৩০ রানে অলআউট হয় গ্রাজী গ্রুপ। প্রাইম দোলেশ্বরের ফরহাদ রেজা ৪০ রানে ৫ উইকেট নেন। এছাড়া সৈকত আলী ৩টি ও আরাফাত সানি ২টি উইকেট নেন।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে প্রাইম দোলেশ্বরের ফরহাদ রেজা ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। এই জয়ে চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে প্রাইম দোলেশ্বর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘন্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
আরএআর/এমএমএস