আফ্রিদি তার বইয়ে অভিযোগে লিখেছেন, পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা তার সঙ্গে অত্যন্ত বাজে আচরণ করতেন। অনেক সাবেক ক্রিকেটারা এই অভিযোগ মেনে নিতে না পারলেও আফ্রিদির এই অভিযোগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন শোয়েব আখতার।
স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়ে আফ্রিদির সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করে শোয়েব আখতার বলেন, ‘আফ্রিদির মতো আমার অভিজ্ঞতাও তেমন সুখকর নয়। সে তো বইতে বলতে গেলে কিছুই লেখেনি। সে সিনিয়র খেলোয়াড়দের কাছ থেকে যেমন বাজে ব্যবহারের শিকার হয়েছে, তার তুলনা নেই। আমি নিজের চোখে দেখেছি অনেক কিছুই। একবার অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় চারজন খেলোয়াড় তো আমাকে ব্যাট দিয়েই মারতে চেয়েছিলেন। ’
আফ্রিদি নিজের আত্মজীবনীতে পাকিস্তান কিংবদন্তি ও সাবেক কোচ জাভেদ মিয়াঁদাদ সম্পর্কে লেখেন, মিয়াঁদাদ তাকে দেখতে পারতেন না। আফ্রিদি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টের আগে আফ্রিদিকে ব্যাটিং অনুশীলন করতে দেননি তিনি।
আফ্রিদি বইয়ে নিজের ভাষ্যে লেখেন, ‘সেদিনের পর থেকে আমি মিয়াঁদাদের ওপর আমার সকল শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলি। তিনি পাকিস্তানের কিংবদন্তি হতে পারেন, কিন্তু বাস্তবে মানুষ হিসেবে তিনি অনেক ছোট মানের। ’
তবে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেই শোয়েবের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওসব খেলোয়াড়দের মধ্যে দশজন ওমরাহ পালন করতে যাওয়ার আগে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছিলেন। আমি বলেছি, এসব ক্ষমা চেয়ে এখন আর কোনো লাভ নেই, যা ক্ষতি হওয়ার সেটা তো হয়েই গিয়েছে। তবে আমি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি। ওসব আমি আমার মনের মধ্যে পুষে রাখিনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
এমকেএম