দ্যা রোস বোল স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে জশ বাটলারের সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩৭৩ রান সংগ্রহ করে ইংলিশরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফখর জামানের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৩৬১ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
৩৭৪ রানের বিশাল টার্গেগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান উদ্বোধনী জুটিতে ৯২ রান যোগ করেন। ৩৫ রান করে আউট হন ইমাম। দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজম ও ফখর জামান ১৩৫ রান যোগ করেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলের নেন ফখর।
দলীয় ২২৭ রানে ১০৬ বলে ১৩৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ফখর। এরপর বাবর ৫১ রান করে বিদায় নেন। আসিফ আলী ৩৬ বলে ৫১ রান করে আউট হন। দলের রান তখন ৫ উইকেটে ৩২৩ রান। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ৩২ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকলেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৩৬১ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ফলে ১২ রানে জয় পায় ইংল্যান্ড। ইংলিশ বোলার লিয়াম প্ল্যাংকেট ও ডেভিড উইলি ২টি এবং ক্রিস ওক্স, মঈন আলী ও আদিল রশিদ ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করেত নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ১১৫ রান যোগ করেন জনি রেয়ারস্টো ও জেসন রয়। ৫১ রান করে আউট হন বেয়ারস্টো। এরপর অর্ধশতক তুলে আউট হন রয়। ৮৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। দলীয় ২১১ রানে জো রুট ৪০ রান করে আউট হন।
এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে সফরকারী বোলাদের ওপর তাণ্ডব চালান অধিনায়ক এউইন মরগ্যান ও জশ বাটলার। দুজনেই ব্যাট চলাতে থাকেন ঝড়ের গতিতে। মরগ্যান ৩৪ বলে আর বাটলার ৩৩ বলে অর্ধশতক তুলে নেন।
এরপর ইনিংসের বাকি অংশটুকু একাই টেনে নেন বাটলার। ৫০ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এতেই ইংল্যান্ডের স্কোর সাড়ে তিনশ’ পার হয়। নয়টি ছয় আর ছয়টি চারের সাহায্যে ৫৫ বলে ১১০ রানে অপরাজিত ছিলেন বাটলার। মরগ্যান ৪৮ বলে ৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৬২ রানে জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন তারা। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাড়ায় ৩ উইকেটে ৩৭৩ রান। পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলী ও ইয়াসির শাহ ১টি করে উইকেট নেন।
ইংলিশ ব্যাটসম্যান জশ বাটলার ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
আরএআর/এমজেএফ