বুধবার (মে ১৫) ডাবলিনের ক্যাসেল অ্যাভিনিউয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ নিয়মরক্ষার ম্যাচে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে। যেখানে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯২ রান সংগ্রহ করে আইরিশরা।
আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে দলে ফিরেই উইকেটের দেখা পান রুবেল হোসেন। নিউজিল্যান্ড সফরে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলা রুবেলকে এই সিরিজে বাংলাদেশের আগের ম্যাচগুলোতে পাওয়া যায়নি। দলীয় চতুর্থ ওভারে আইরিশ ওপেনার জেমস ম্যাককলামকে লিটন দাশের ক্যাচে বিদায় করেন এই পেসার।
পরে অভিষেক উইকেট তুলে নেন আবু জায়েদ রাহি। ত্রিদেশীয় সিরিজিই ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল তার। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বেশ খরুচে বোলিং করে কোনো উইকেট পাননি তিনি। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার ম্যাচে নিজের অভিষেক উইকেট তুলে নেন এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার। আইরিশদের দলীয় ৫৯ রানে অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাশের ক্যাচে বিদায় করেন তিনি।
এরপরের গল্পটা যেন স্বাগতিকরা নিজেদের করে নেয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নেন আয়ারল্যান্ড ওপেনার পল স্টারলিং। ১২৭ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান এই ডানহাতি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তিনি অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের সঙ্গে ১৭৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ফলে বড় সংগ্রহের ভীত পায় দলটি স্বাগতিকরা। তবে ক্যাচ মিসের মহড়ায় স্টারলিং দু’বার ও পোর্টারফিল্ড একবার জীবন পান।
অবশেষে রাহি এই জুটিকে থামিয়ে দু’জনকেই আউট করেন। স্টারলিং ১৪১ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৩০ করে তিনি লিটন দাশের ক্যাচে ফেরেন। আর ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত পোর্টারফিল্ডকে সেই লিটনের ক্যাচেই ফেরান রাহি।
পরে কেভিন ও’ব্রাইন ও গ্যারি উইলসনকে বিদায় করে ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচেই ৫ উইকেটের স্বাদ নেন চমক নিয়ে আসছে বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া রাহি। শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ২টি উইকেট তুলে নেন।
এ ম্যাচের আগে ২০১০ সালের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ হারেনি বাংলাদেশ। এছাড়া সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসী টিম টাইগার। আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ দলে এসেছে একাধিক পরিবর্তন। নিয়মরক্ষার এই ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন, লিটন দাস ও রুবেল হোসেন।
লিটনকে জায়গা দিতে সরছেন সৌম্য সরকার। আগের দুই ম্যাচে ফিফটি করা এই ওপেনারকে বিশ্রাম দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজের পরিবর্তে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে রুবেল হোসেন এসেছেন একাদশে।
আগের দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারিয়ে টাইগাররা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে থাকলেও স্থানীয় কনকনে ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেওয়া এখনও পুরোপুরি সম্ভব হয়নি তাদের। এদিক থেকে কিছুটা হলে এগিয়ে আছে আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম(উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মাশরাফি বিন মর্তুজা(অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, মোসাদ্দেক হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: পল স্টারলিং, জেমস ম্যাককলাম, অ্যান্ড্রু বালবার্নি, উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড (অধিনায়ক), কেভিন ও’ব্রেইন, গ্রে উইলস, জর্জ ডকরিল, বয়েড র্যাংকিন, বেরি ম্যাককার্থি ও জস লিটল
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
এমএমএস