বুধবার (১৫ মে) স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ২৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৫তম ওভারে পিঠে ব্যথা অনুভব করেন সাকিব। এরপর ৩৬তম ওভারে অর্ধশতক পূরণ করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি।
বিসিবি নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অবশ্য জানিয়েছেন, সাকিবের চোট ততটা গুরুতর নয়। আপাতত একদিনের পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি।
তবুও বিশ্বকাপের আগে সাকিবের চোট শঙ্কার বিষয়। এর আগে বিপিএলে আঙুলের চোটের কারণে নিউজিল্যান্ড সফরে খেলতে পারেননি দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার।
শুক্রবার (১৭ মে) ডাবলিনে, ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনিশ্চিত সাকিব। কোন প্রকার ঝুঁকি নেওয়াটা অভিশাপ হয়ে দেখা দিতে পারে টাইগারদের জন্য।
সাকিব না থাকলে একাদশেও পরিবর্তন আসতে পারে। তবে বাংলাদেশের মধুর সমস্যা এখন ওপেনিংয়ে। তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকার নাকি লিটন দাশ থাকবেন তাই ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে আইরিশদের বিপক্ষে জ্বলেছে লিটনের ব্যাট। ৬৭ বলে খেলেছেন ৭৬ রানের ঝড়ো ইনিংস।
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত দুই ম্যাচেই ৭৩ ও ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ছিলেন বিশ্রামে। তামিমের সঙ্গে ওপেনিং করার প্রাধান্যটা তাই সৌম্যের বেশি। সেক্ষেত্রে সাকিব স্কোয়াডে না থাকলে লিটনকে তিনে নামানো হতে পারে। গত ম্যাচে বিশ্রামে থাকা মোস্তাফিজুর রহমানও ফিরতে পারেন ফাইনালে।
আইরিশ আবহাওয়ায় টাইগার ব্যাটসম্যানরা এখন পর্যন্ত সফল। তবে বোলিংয়ে শুরুতে ছন্দহীনতা থাকলেও তা কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। অবশ্য আয়ারল্যান্ডের মাঠ ব্যাটিং বান্ধব বটে। কিন্তু এই পিচে আয়ারল্যান্ড-উইন্ডিজদের ব্যাটসম্যানরা সেঞ্চুরির দেখা পেলেও এখন পর্যন্ত ম্যাজিক ফিগারের দেখা পাননি টাইগারদের কেউ।
তামিম অবশ্য একটি অনন্য সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। আইরিশদের বিপক্ষে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে ক্যারিয়ারে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলে ১০০তম পঞ্চশোর্ধ্ব শতক করেছেন। তবে এমন পিচেও সফল আবু জায়েদ রাহী। অভিষেক ম্যাচে উইকেট শূন্য থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচে এসে পাঁচ উইকেট পান তিনি।
অন্যদিকে ফাইনাল খেললেও বাংলাদেশের বিপক্ষে গত দুই ম্যাচেই হেরেছে জেসন হোল্ডারের দল। এক শাই হোপ ছাড়া আশা ছড়াতে পারেননি ক্যারিবিয়ানদের কেউ। সিরিজে চার ম্যাচের মধ্যে দুই সেঞ্চুরি ও এক হাফসেঞ্চুরি করেন হোপ। ৯৯ গড়ে সিরিজে সর্বোচ্চ ৩৯৬ রানও তার।
মাশরাফি অবশ্য ফাইনাল নিয়ে বেশ আশাবাদী। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর জানান, ‘আমরা সিরিজের তিন ম্যাচই জিতেছি এবং ফাইনালের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। ’
এই পিচে ৩০০ উর্ধ্ব লক্ষ্য তাড়া করেও জেতা সম্ভব তা টাইগাররা আগে দেখিয়েছেন। তবে মাশরাফি বোধহয় টসে জিতলে ফিল্ডিংই নিতে চাইবেন। কারণ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত এক ম্যাচ (টস হয়নি) বাকি তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ জিতেছে লক্ষ্য তাড়া করে। তিনবারই টসে হারেন মাশরাফি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘন্টা, মে ১৬, ২০১৯
ইউবি/এমকেএম