শুক্রবার (১২ জুলাই) রশিদের কাঁধে নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে আফগান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। রশিদের ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আসগর আফগান।
বিশ্বকাপের দেড় মাস আগে আসগরের অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়েছিল এসিবি। এ নিয়ে ওই সময় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিল আফগান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তার বদলে সেবার তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা অধিনায়ক বেছে নেওয়া হয়। নাঈবকে ওয়ানডে, রশিদ খানকে টি-টোয়েন্টি আর টেস্টের জন্য বেছে নেওয়া হয় রহমত শাহ’কে।
চলতি বিশ্বকাপে আফগানদের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক। ৯ ম্যচের সবগুলোতেই হেরে পয়েন্ট টেবিলের একদম শেষ স্থানে থাকার লজ্জা নিয়ে দেশে ফিরেছেন রশিদ-নবীরা। অধিনায়ক নাঈবের পারফরম্যান্স ছিল আরও হতাশাজনক। বল হাতে ওভার পিছু ৬.৩৯ রান খরচ করার পাশাপাশি ব্যাট হাতে রান করেছেন ২১.৫ গড়ে। এছাড়া তার নেতৃত্বও ছিল অগোছালো।
নাঈবের পূর্বসূরি আফগানের নেতৃত্বে ওয়ানডেতে ৩১টি জয় এবং ৪৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩৭টি জয় পেয়েছিল। এছাড়া দলটির প্রথম টেস্ট ম্যাচে আইরিশদের বিপক্ষেও নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। ২০০৯ সাল থেকেই তিনি দলের নিয়মিত সদস্য এবং ওয়ানডেতে ২০১৩ রান ও টি-টোয়েন্টিতে ১০৫৬ রান করেছেন।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে আফগানকে নাটকীয়ভাবে সরিয়ে দেওয়া কেউ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। দলের কয়েকজন সদস্য তো টুইটারে এ নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন। এর মধ্যে রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীও ছিলেন। বিশ্বকাপ শুরুর পর এমনকি অধিকাংশ ম্যাচে দলের একাদশেই জায়গা হয়নি আফগানের। এর প্রভাব দলেও পড়েছে।
পুরো আসরে আফগানদের নিয়ে বিতর্ক ছিল তুঙ্গে। মোহাম্মদ শাহজাদকে ফিট থাকা সত্ত্বেও বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আফতাব আলমকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বিশ্বকাপের একদম মাঝামাঝি স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়। ভারতের কাছে 'ক্লোজ' ম্যাচ হেরে যাওয়ায় নাঈবের বাজে বোলিং নিয়েও সমালোচনা হয় অনেক।
সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে (সম্ভাব্য) নেতৃত্ব দেবেন রশিদ। এরপর বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ভারতের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজেও নেতৃত্ব দেবেন এই লেগি। এই হোম সিরিজে উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩টি টি-টোয়েন্টি, ৩টি ওয়ানডে ও ১টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
এমএইচএম