২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ৩ বলে ২ রান দরকার ছিল। বড় শট খেলতে গিয়ে সেবার মিড উইকেট অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালেও অনেকটা মুশফিকের মতো পরিস্থিতির মুখে পড়েন স্টোকস। ইংলিশদের বিশ্বকাপ ‘নায়ক’ বলেন, ‘শেষ বলের ঠিক আগে, আমার মাথায় ছিল শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচটি (২০১৬ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে)।
মুশফিকের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন স্টোকস এবং বুঝতে পেরেছিলেন যে, ছক্কা মেরে নায়ক হওয়ার চেয়ে দলকে নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছে দেওয়া বেশি জরুরি। স্টোকস বলেন, ‘ছক্কা মেরে নায়ক হওয়ার চেষ্টা করো না। এক রান নেওয়ার চেষ্টা করো এবং ম্যাচটা সুপার ওভারে নিয়ে যাও। এটাই ছিল আমার ভাবনা। ওই সময় আবেগ ছিল অনেক বেশি। ’
স্টোকসের পরিকল্পনা অনেকটাই কাজে লেগে গিয়েছিল। তার ব্যাটেই সুপার ম্যাচটা সুপার ওভারে নিয়ে যায় ইংল্যান্ড। যদিও দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ৫০ ওভার শেষ হওয়ার আগে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হন। এজন্য অবশ্য নিজের ওপর কিছুটা বিরক্ত স্টোকস।
‘আমি নিজের ওপর বেশ বিরক্ত হয়েছিলাম। ওই সময় আমার মাথা ঠিক রাখা এবং দলের জন্য কাজটা শেষ করে আসা জরুরি ছিল,’ যোগ করেন স্টোকস।
সুপার ওভারেও ব্যাট হাতে নামেন স্টোকস। সঙ্গী হন জস বাটলার। ক্লান্ত-শ্রান্ত অলরাউন্ডার স্টোকস সেখানেও একটা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বড় অবদান রাখেন। যদিও সুপার ওভারে সমান রান করে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সব নাটকের অবসান ঘটিয়ে বাউন্ডারির হিসাবে বিশ্বকাপটা ইংল্যান্ডের ঘরেই যায়। আর জয়ের নায়ক হয়ে ‘জাতীয় বীর’ হয়ে যান স্টোকস।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এমএইচএম