তবে ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন এ নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন। জানান, ব্যাটিংয়ে থাকা বেন স্টোকস আম্পায়ারকে সেই চার রান তুলে নিতে বলেছিলেন।
নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের করা ওভারটির চতুর্থ বলে দৌড়ে দুই রান নেন বেন স্টোকস ও আদিল রশিদ। কিন্তু ডিপ মিড উইকেট থেকে মার্টিন গাপটিলের থ্রো করা বলটি স্টোকসের ব্যাটে লেগে সীমানা পার করে।
আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ২+৪ মিলিয়ে ৬ রান দেন ইংল্যান্ডকে। আর তাতেই বড় বাঁচা বেঁচে যায় স্বাগতিকরা। অবশ্য স্টোকসের এখানে দায় ছিল না। কেননা তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাট লাগাননি।
বিবিসিতে এক সাক্ষাতকারে টেস্ট দলের নিয়মিত ফাস্ট বোলার অ্যান্ডারসন জানান, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিতে স্টোকস আবেদন করেছিলেন।
অ্যান্ডারসন বলেন, ‘ক্রিকেটের আদব হচ্ছে বল যদি স্টাম্পের দিকে থ্রো করা হয় এবং এটি যদি তোমাকে আঘাত করে গ্যাপে চলে যায়, তবে তুমি রান নিতে পারো না। কিন্তু বল যদি বাউন্ডারি হয়ে যায়, তবে নিয়ম বলে এটি চার রান এবং এতে তোমার কিছুই করার নাই। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মাইকেল ভনের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি দেখেছেন বেন স্টোকস আম্পারের দিকে গিয়েছিলেন ও বলেছিলেন আপনি কি এই চার রানের সিদ্ধান্ত তুলে নিতে পারেন। আমরা এটি চাই না। ’
এদিকে ওভার থ্রো বা ফিল্ডারদের ইচ্ছাকৃত কাজ নিয়ে এমসিসি’র ১৯.৮ অনুচ্ছেদে আছে, ফিল্ডারদের ইচ্ছাকৃত কোনোকিছু বা ওভার থ্রো বাউন্ডারি পার হলে তা বাউন্ডারির হিসেবে সেই রান যোগ করা হবে। সঙ্গে যোগ করা হবে ব্যাটসম্যানরা কত রান নিয়েছেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাটসম্যানদেরকে একে অপরকে পার হয়ে যেতে হবে।
এই আইন নিয়েই বেধেছে বিপত্তি। রিপ্লেতে দেখা যায়, দ্বিতীয় রানটি নেওয়ার সময় স্টোকস ও আদিল একে অপরকে পার করেননি। গাপটিল যখন বল থ্রো করছিলেন তখন আদিল স্ট্রাইকে এবং স্টোকস নন স্ট্রাইকে ছিলেন।
আইনের দৃষ্টিতে বিচার করলে ২ রানের পরিবর্তে ১ রান দিতে হবে। কিন্তু ম্যাচ আম্পায়াররা তৃতীয় ও টিভি আম্পায়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইংল্যান্ডকে ২ রান দেন।
সাবেক পাঁচবারের বর্ষসেরা অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার সাইমন টাফেল এটিকে ভুল হিসেবেই দেখেছেন। তিনি জানান, ৫ রানের পরিবর্তে ৬ রান দিয়ে আম্পায়ার ‘বিচারে ভুল করেছেন’।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এমএমএস