শুনতে অবাক লাগতে পারে। কিন্তু ডি ভিলিয়ার্স বিশ্বকাপের মঞ্চে মরগানকে ‘অধিনায়কত্ব ও তার চাপ সম্পর্কে সতর্ক’ করেছিলেন।
ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘আমরা অনেক অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি ভাগাভাগি করেছিলাম। এটা বলা শোভন যে, সে (মরগান) এসব থেকে কিছু গ্রহণ করেছে। ’
২২ গজের পিচে ১৫ বছর দাপটের সঙ্গে খেলার পর হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ফেলায় ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলা হয়নি ডি ভিলিয়ার্সের। গত নভেম্বরে মরগান দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগের ক্লাব সোয়ান স্পার্টান্সের হয়ে খেলতে আসেন। তখন সতীর্থ হিসেবে পান ডি ভিলিয়ার্সকে।
মরগান দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে ওঠেন হোটেলে। কিন্তু কয়েকদিন যাওয়ার পরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে কাটানোর। সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়কও না করেননি। মরগানকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান ডি ভিলিয়ার্স।
সেখানেই জমে ওঠে দু’জনের বন্ধুত্ব। রেড ওয়াইন হাতে কিছু রাত তারা কাটান ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করে। ক্রিকেটের বাইরে অবসরে দু’জনে সময় কাটিয়েছেন গলফ মাঠে। পারস্পরিকভাবে কাছে থাকার সময় ডি ভিলিয়ার্স নিজের অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন মরগানের সঙ্গে।
ডি ভিলিয়ার্স স্পোর্টসমেইল বলেন, ‘আমরা তখন অধিনায়ত্ব ও নের্তৃত্বের সময় কি চাপ আসতে পারে তা নিয়ে অল্প-স্বল্প কথা বলতাম। ’
তিনি আরও জানান, এই সময় মরগান নাকি সারাক্ষণ টেলিফোনের সামনে থাকতো এবং ইংল্যান্ডের নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলত। এর আট মাস পরেই মরগান ইংল্যান্ডকে নিয়ে বিশ্বকাপে মঞ্চে যান । ডি ভিলিয়ার্স তা নিয়ে একটু মজাও করেছেন, ‘ঐ দিনগুলোতে মরগান পার্টনার হিসেবে ভাল ছিল না। ’
সঙ্গে হাসিমুখে দাবি করেছেন মরগানের পেছনে নিজের কৃতিত্বকে, ‘আমি ১০০ শতাংশ এর দাবি করছি, তার বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে আমিও কারণ ছিলাম। ’
রোববার (১৪ জুলাই) লর্ডসের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নাটকীয় ম্যাচে বাউন্ডারির হিসেবে জিতে ২০১৯ বিশ্বকাপ ঘরে তোলে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জুলাই, ১৭, ২০১৯
ইউবি/এমএমএস