সংবাদ সম্মেলনে ইনজামাম বলেন, ‘আমি মনে করি সরে যাওয়ার এটাই সময়। তবে আমি ৩০ জুলাই পর্যন্ত মেয়াদ পূর্ণ করবো।
‘ক্রিকেট আমার আবেগের জায়গা। কিন্তু আমি আর নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ হতে চাই না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি হেরে যাই এবং এতেই আমরা রান রেটে অনেক পিছিয়ে পড়ি, যা পরের পথটা কঠিন করে দেয়,’ ২০১৯ বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
তবে পাকিস্তানের একাধিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বিশ্বকাপের পরও দায়িত্ব পালন করে যেতে চেয়েছিলেন ইনজামাম। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চায় নতুনদের নিয়ে নির্বাচক কমিটি ঢেলে সাজাতে।
ইনজামামের বিদায়ের পর প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক টেস্ট ওপেনার মহসিন খান। এর আগেও তিনি একই পদে কাজ করেছেন। তাছাড়া জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবেও তার কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে।
মূলত বিশ্বকাপে পাকিস্তান সেমিফাইনালে না উঠতে পারায় ইনজামামকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। তবে বিশ্বকাপ শেষে চাচা ইনজামামের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন তার ভাতিজা ও পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম-উল-হক।
লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমাম বলেন, ‘বিশ্বকাপে দলের প্রথম ৫ ম্যাচে বাজে পারফরম্যান্সের জন্য প্রধান নির্বাচককে একা দায়ী করা মোটেও ঠিক নয়। নির্বাচক কমিটির বাকি সদস্যও এজন্য সমানভাবে দায়ী। ’ তার দাবি, দলের অধিনায়ক ও কোচের সঙ্গে আলোচনা করেই দল নির্বাচন করেছিলেন ইনজামাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এমএইচএম