তবে তিনি অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব নিতে চান না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অস্থায়ীভাবেই দায়িত্ব নিতে হয়েছে তাকে।
শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার আগে শুক্রবার (১৯ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে কোচিং বিষয় নিয়ে এসব কথা বলেন সুজন।
কোচের আবেদন না করা বিষয়ে সুজন বলেন, এটা বোর্ডের পালসের ব্যাপার। এখনও স্থানীয় কোচদের উপর সেভাবে বোর্ডের আস্থাটা হয়নি। সব বিভাগেই বিদেশি কোচ আমাদের। আমি কতটুকু যোগ্য জানি না, তবে এটা কিন্তু রকেট সায়েন্স না। অন্যান্য কোচরা হয়তো লেভেল থ্রি-ফোর করেছেন। আমরাও লেভেল থ্রি করেছি ২০০৬-০৭ সালে। কিন্তু বসে থাকিনি। ক্রিকেটের টেকনিকটা কিন্তু ফিক্স করা। সব ব্যাটসম্যানই কিন্তু স্কয়ার কাট একভাবেই খেলে। এখানে প্ল্যানিংটাই আসল বিষয়।
নিজেকে বাংলাদেশ দলের যোগ্য মনে করেন সুজন। কোন দিকে দিয়ে তিনি এগিয়ে সেটার ব্যাখ্যা দিলেন নিজেই।
‘আমার কোচিং ক্যারিয়ার ১৩-১৪ বছর হয়ে গেছে। আমি এদেশেই বড় হয়েছি। অনেক দিন দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে আছি। এখন তো আমার একটা অভিজ্ঞতা আছেই। কোচদের সঙ্গে থেকেছি, দেখেছি তারা কীভাবে কাজ করেন। আমি জেমি সিডন্সের সহকারী হিসেবেও কাজ করেছি। ঘরোয়া লিগে, বিপিএলে হেড কোচ হিসেবে বেশ কয়েক বছর কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি কোচদের ভাষা বুঝতেও সমস্যা হয়। আমি দেশের অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলেছি, ক্রিকেটারদের সবাইকে চিনি। কে কেমন সবই আমার জানা। এটা আমার জন্য প্লাস পয়েন্ট। বিদেশি কোচের পরিবেশ বুঝতেও সময় লাগে, আমার সেটা লাগবে না। আর বিদেশি কোচ ছুটিতে গেলে ক্রিকেটারদের সাথে কেউ থাকেও না। আর আমাকে ক্রিকেটাররা যখন-তখনই পাবেন। ’
তবে এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা না করে শ্রীলঙ্কা সফর টাইগাররা কেমন করে সেটাই বড় বিষয়। ইনজুরির কারণে শেষ মুহূর্তে এসে দল থেকে ছিটকে গেছেন মাশরাফি-সাইফউদ্দিন। ছুটিতে আছেন সাকিব ও লিটন। তাই সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিংও হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
আরএআর/এমআইএইচ/জেআইএম