বল করার সময় বোলাররা নির্দিষ্ট লাইনের বাইরে পা দিচ্ছে কিনা বা ওভার স্টেপ করছে কিনা তার দিকে চোখ রাখতো থার্ড আম্পয়ার। পরে তা সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হতো ফিল্ড আম্পায়ারকে।
অত্যধিক খরচের কারণে ২০১৭ সালের পর নো বল প্রযুক্তি বন্ধ করে দেয় আইসিসি। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে একদিনে খরচ পড়তো দশ হাজার ডলার। অথচ পুরো ম্যাচে ডেলিভারির মাত্র ০.৫ শতাংশ নো বলের সম্ভাবনা থাকে। যার কারণে এত খরুচে প্রযুক্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি।
তবে এবারের বৈঠকে পুনরায় নো বল প্রযুক্তি অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে আইসিসিকে অনুরোধ জানায় বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। আইসিসি রাজি হয়েছে তাতে। তবে এখনই তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যাবে না। আপাতত নো বল প্রযুক্তির ব্যবহার হবে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে। পরে তা বিবেচনা করে ফেরানো হতে পারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
এ ব্যাপারে আইসিসি’র এক কর্মকর্তা ভারতীয় গণমাধ্যম মুম্বাই মিরর’কে বলেন, ‘আইসিসি নো বল প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে, তবে তা প্রথমে ব্যবহার করা হবে ভারতে। ’
এই বছরের শুরুর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নো বল বিতর্ক দেখা যায়। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরের এক ম্যাচে নো বল করেন লাসিথ মালিঙ্গা। কিন্তু মালিঙ্গার ওভারটির শেষ বলে করা ওভারস্টেপিং চোখ এড়িয়ে যায় থার্ড আম্পায়ারের। যে বল ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। হেরে যায় আরসিবি।
নো বল প্রযুক্তির ব্যবহার না থাকায় এবং আম্পায়ারের ভুলের জন্য তখন ম্যাচ শেষে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
ইউবি