ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ক্রিকেটে আমরা সবাই একটি পরিবারের মতো: তামিম 

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
ক্রিকেটে আমরা সবাই একটি পরিবারের মতো: তামিম  ট্রফি নিয়ে করুনারত্নে ও তামিমের ফটোসেশন: ছবি-সংগৃহীত

এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে সিরিজ বোমা হামলায় ২৯০ জন মারা যায়। আহত হোন আরও ৫০০ জন। সেই হৃদয়বিদারক অধ্যায়ের পর বাংলাদেশ-ই প্রথম লঙ্কা সফরে গেছে। সিরিজ শুরুর আগে নিরাপত্তার বিষয়টা তাই মাথায় রাখতে হয়েছে দু’দলকেই। তবে লঙ্কানদের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন টাইগার অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) তামিম ইকবাল। 

শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিনটি ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে হবে শুক্রবার (২৬ জুলাই) কলম্বোতে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) কলম্বোর পি সারা ওভালে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রীলঙ্কার বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।  

মূল লড়াইয়ের আগে সোমবার (২২ জুলাই) শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড দু’দলের খেলোয়াড় ও ম্যানেজমেন্টকে নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।  তাজ সমুদ্র হোটেলে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন উপস্থিত ছিলেন। স্বাগতিক দলের পক্ষ থেকে ছিলেন অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা হয়।  বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে নিরাপত্তা দেওয়ায় দেশটির ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান তামিম।

সংবাদ সম্মেলেনে তামিম বলেন, আমাদের সুন্দর নিরাপত্তার জন্য আমি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের যে নিরাপত্তা ও সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তা সত্যি চমৎকার। তারা যেভাবে আমাদের দেখাশোনা করছে, তার জন্য আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে শ্রীলঙ্কার সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিও তামিম স্মরণ করিয়ে দেন।  নিরাপত্তার অজুহাতে গত দুয়েক বছর কয়েকটি বড় দল বাংলাদেশ সফরে আসতে চায়নি। সেই দুঃসময়ে লঙ্কানরা আমাদের সাহায্য করেছিল।  

দুঃসময়ে ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো যেন একে অপরের পাশে থাকে, এমনটাই চান টাইগার দলপতি তামিম।  প্রত্যেক ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ যেন একটি পরিবার, তেমন কথাই শোনালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘শ্রীলঙ্কায় ওই ঘটনার (সিরিজ বোমা হামলা) পর দুই মাস কেটে গেছে। যখন আমি জানতে পারলাম আমরা শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছি, আমাদের দেশের লোক ও দেশের ক্রিকেটাররা সবাই সমর্থন দিয়েছে। বেশিদিন হয়নি আমাদেরও একই অবস্থা গেছে।  আমি মনে করি, শ্রীলঙ্কা একমাত্র দল যারা আমাদের ক্রিকেটকে স্বাভাবিক গতিপথে চলতে সাহায্য করেছিল। আমি মনে করি, ক্রিকেটে আমরা সবাই একটি পরিবারের মতো। যখন এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তখন আমাদের একে অপরকে সাহায্য করা উচিৎ। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯ 
ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।