মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) কলম্বোয় লঙ্কানদের দেওয়া ২৮৩ রানের টার্গেট ৫ উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখে পার হয়ে যায় তামিম ইকবালের দল। ৪৮.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান করে বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ভাল সূচনা এনে দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। সৌম্য অবশ্য বেশিদূর আগাতে পারেননি। দলীয় ৪৫ ও ব্যক্তিগত ১৩ রানে লাহিরু কুমারার বলে তিনি সাজঘরে ফিরেন। এরপর মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে খেলতে থাকেন তামিম।
তবে তামিককেও (৩৭) ইনিংস বড় করতে দেননি কুমারা। এরপরই লঙ্কান বোলারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেন মিথুন ও মুশফিক। দু’জনে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ৭৩ রানের জুটি। ৪৬ বলে ৫০ করে মুশফিক ফিরেন দলীয় ১৩১ রানে।
রানের গতি সচল রেখে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে এগোতে থাকেন মিথুন। দলকে ২২৭ রানে রেখে ফিরে যান রিয়াদও। অবশ্য তাতেও কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি লঙ্কান দলটি।
তবে আশা জাগিয়েও সেঞ্চুরি বঞ্চিত হোন মিথুন। সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে থাকতে তিনি রাজিথার বলে ক্যাচ তুলে দেন ডি সিলভার হাতে। তার ১০০ বলে ৯৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চার ও ১ ছক্কায়। বাংলাদেশের জয়ের বাকি কাজটা সারেন সাব্বির রহমান (৩১) ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (১৫)।
এর আগে টসে হেরে প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে এসেই ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে স্বাগতিক দলের ওপেনার নিরোশান দিকভেলাকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান রুবেল হোসেন।
দলীয় ৩২ রানে তিন উইকেট হারানো প্রেসিডেন্ট একাদশকে উদ্ধার করে শেহান জয়সুরিয়া ও দাসুন শানাকার ব্যাট। জয়সুরিয়ার করেন ৫৬ রান। ৮৬ রান করে শেষ পযর্ন্ত অপরাজিত ছিলেন শানাকা। দু’জনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮২ সংগ্রহ করে দিকবেলার দল।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দারুণ বল করা রুবেল ও সৌম্য সরকার দুটি করে উইকেট লাভ করেন। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশের সিরিজের প্রথম ওয়ানডে হবে শুক্রবার (২৬ জুলাই)। বাকি দুই ম্যাচ হবে ২৮ ও ৩১ জুলাই। দিবারাত্রির প্রতিটি ম্যাচ হবে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
ইউবি