শুক্রবার (২৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে আমির বলেন, ‘ক্রিকেটের সর্বোচ্চ চূড়া এবং ঐতিহ্যবাহী ফরম্যাটে (টেস্ট) পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা অত্যন্ত সম্মানের। যাই হোক, আমি ক্রিকেটের এই দীর্ঘ পরিসর থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে সাদা বলের ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে পারি।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় আমিরের। সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর আগে তিনি ৩৬ ম্যাচে ১১৯ উইকেট নিয়েছেন।
আমির তার ৩৬ টেস্টের ২২টি খেলেছেন ২০১৬ সালের পর। তার মধ্যে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার ৪৪/৬, জ্যামাইকাতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এর আগে ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য তাকে ৫ বছর নিষিদ্ধ করা হয় সব ধরনের ক্রিকেটে।
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দেখা না গেলেও আমির ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবেন। আগামী বছর আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করাকে এখন পাখির চোখ করছেন তিনি। এ ব্যাপারে আমির বলেন, ‘পাকিস্তানের হয়ে খেলে যাওয়া আমার মূল ইচ্ছা এবং লক্ষ্য। আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলোতে আমি নিজেকে ফিট রাখতে চাই, বিশেষ করে পরের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য। ’
কেবল সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়ার জন্য নয়, আমির অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুনদের জায়গা করে দেওয়ার জন্যও। সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ শুরু হচ্ছে। তাতে যেন দলে নতুনরা আসতে পারে এজন্য নিজেকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।
আমির বলেন, ‘অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত আমার জন্য সহজ ছিল না এবং আমি এ ব্যাপারে অনেক ভেবেছি। সামনে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ শুরু হচ্ছে। পাকিস্তান কিছু দুর্দান্ত তরুণ ফাস্ট বোলারদের দলে নিচ্ছে। এটাই উপযুক্ত সময় টেস্ট ক্রিকেট থেকে আমার অবসরের, যাতে নির্বাচকরা তাদের পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করতে পারেন। ’
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পরিচালক ওয়াসিম খান ক্রিকেটীয় অবদানের জন্য আমিরের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ের টেস্টে ক্রিকেটে আমির অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন বাঁহাতি ফাস্ট বোলার। মাঠে তার দক্ষতা এবং তার ব্যক্তিত্ব দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটের ড্রেসিংরুমের সবাই মিস করবে। যাই হোক, আমরা তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
ইউবি/এমএইচএম