এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান। ৫ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশের চাই আরও ১৬২ রান।
৩১৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মালিঙ্গার বোলিং তোপে জোর ধাক্কা খায় টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ।
বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ছিলেন মালিঙ্গার প্রথম শিকার। বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ওভারে বল করতে আসার আগে সমর্থক থেকে শুরু করে সতীর্থদের কাছ থেকে আবেগঘন মুহূর্ত উপহার পেয়েছেন মালিঙ্গা। কিন্তু বল হাতে নিয়ে সব আবেগ উধাও। ওভারের পঞ্চম বলেই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবালের লেগ স্ট্যাম্প ভেঙে দিলেন। তামিম অবশ্য ঠেকাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে।
তামিমের বিদায়ের পর নুয়ান প্রদীপের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পরে বিদায় নেন মোহাম্মদ মিঠুন (১০)। টিকতে পারেননি সৌম্যও। মালিঙ্গার পরপর তিন ইয়র্কার সামলানো সত্যিই কঠিন এক কাজ। দুটি তবু কোনোমতে সামাল দিলেন সৌম্য। কিন্তু তৃতীয়টি আর সম্ভব হলো না। ব্যাট কিছুটা আগে বাড়িয়ে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন টাইগার ওপেনার। কিন্তু এই পুরনো কৌশল মালিঙ্গার সামনে কাজে লাগেনি। বল লেগ স্ট্যাম্পে আঘাত করার আগে সৌম্য’র ব্যাটে কিছুটা ছোঁয়াও দিয়ে যায়।
টানা উইকেট পতনের মিছিল ঠেকাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। সেই ইনিংসের শুরুতেই তামিম ইকবালের বিদায়ের পর একে একে বিদায় নিয়েছেন আরও ৩ বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। লাহিরু কুমারার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে বিদায় নেওয়ার আগে রিয়াদের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৩ রান। ৩৯ রানে নেই ৪ উইকেট। সেখান থেকেই মুশফিক-সাব্বিরের লড়াই শুরু। কিন্তু সাব্বির পারলেন না।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নেন কুশল পেরেরা। ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। এছাড়া ৪৯ বলে ৪৩ রান করে কুশল মেন্ডিস ও ৩৭ বলে ৩৬ রান করে বড় ভূমিকা রাখেন লাহিরু থিরিমান্নে।
বল হাতে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল দীর্ঘ বিরতি শেষে দলে ফেরা শফিউল ইসলাম। এই ডানহাতি পেসার ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। তবে ৯ ওভারে খরচ করেছেন ৬২ রান । ২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মোস্তাফিজ। তবে ১০ ওভারে ৭৫ রান খরচ করেছেন তিনি। ১টি করে উইকেট গেছে মেহেদি, রুবেল ও সৌম্য সরকারের দখলে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
এমএইচএম