লঙ্কানদের ছুড়ে দেওয়া ২৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪ রানেই ওপেনার তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। টানা ৬ ম্যাচে বোল্ড হওয়ার লজ্জার পর এবার তিনি আউট হয়েছেন ক্যাচ তুলে দিয়ে।
বাংলাদেশের দুই ওপেনারের দেখিয়ে যাওয়া পথেই হেঁটেছেন মুশফিক (১০), মোহাম্মদ মিথুন (৪) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৯)। তিনজনই শাকানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। এরপর উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার মিছিলে যোগ দেন সাব্বির রহমান (৭) ও মিরাজও (৮)। বাকিদের মাঝে একমাত্র ব্যতিক্রম সৌম্য। তার ব্যাট থেকে এসেছে প্রতিরোধ। কিন্তু তা মোটেও যথেষ্ট হয়নি।
৮৬ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে ধনঞ্জয়ার হাতে ক্যাচ দিলে শেষ হয় সৌম্য’র প্রতিরোধ। এই ইনিংস খেলার পথে ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সৌম্য। শেষদিকে ২৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধানটাই শুধু কমাতে সক্ষম হয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তার এই ঝড়ো ইনিংসে বাউন্ডারির মার ছিল ৫টি, এছাড়া একটি ছক্কাও হাঁকিয়েছেন। তবে অন্য প্রান্তে অপরাজিত থাকা অবস্থায় দলকে ১৭২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার সাক্ষী হতে হলো তাইজুলকে।
লঙ্কানদের হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছেন শানাকা। ২টি করে উইকেট গেছে রাজিথা ও কুমারার দখলে। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন ধনঞ্জয়া ও হাসারাঙ্গা।
এর আগে শুরুতে ফিল্ডিং করতে নেমে ক্যাচ মিস, বাজে লাইন-লেন্থ মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচেও বোলিংয়ে হতাশা ছড়ায় বাংলাদেশ। আর এই সুযোগে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, কুশল মেন্ডিসরা।
নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে ৮৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক ম্যাথিউস। ফিফটি তুলে নিয়েছেন কুশল মেন্ডিস। ফিফটি ছুঁইছুঁই ইনিংস খেলেছেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে (৪৬) ও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা (৪২)।
বল হাতে ৯ ওভারে ৫৬ রান তুলে নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার সৌম্য। ৩ উইকেট পেয়েছেন শফিউলও। তবে তিনি ১০ ওভারে খরচ করেছেন ৬৮ রান। ১ উইকেট করে গেছে রুবেল ও তাইজুলের ঝুলিতে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
এমএইচএম