ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ধোনি-গিলক্রিস্টের চেয়েও এগিয়ে কামরান আকমল!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
ধোনি-গিলক্রিস্টের চেয়েও এগিয়ে কামরান আকমল! কামরান আকমল-ছবি: সংগৃহীত

অনেকদিন থেকেই জাতীয় দলের বাইরে কামরান আকমল। ফলে আলোচনায় আসাটা তার জন্য কঠিনই। তবে জাতীয় দলে না হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে কিন্তু বেশ জমিয়ে খেলে যাচ্ছেন পাকিস্তানের এই অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। সর্বশেষ এই ঘরোয়া ক্রিকেটের কারণেই শিরোনামে এলেন তিনি।

পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে সেন্ট্রাল পাঞ্চাবের হয়ে খেলছেন আকমল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ৩১তম সেঞ্চুরির ইনিংসে ভর করে তার দল শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ম্যাচের প্রথম দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৬৯ রান সংগ্রহ করেছে।

আজহারের সঙ্গে আকমলের শতরানের জুটি সেন্ট্রাল পাঞ্জাবকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দিনশেষে অপরাজিত আজহার ৮ চারে ১১০ রান করেছেন। আর নওমান আলীর বলে আউট হওয়ার আগে ১২ চার ও ৪ ছক্কায় ১৫৭ রান করেন আকমল।

ঘরোয়া ক্রিকেটে চুটিয়ে খেলতে থাকা আকমল মহেন্দ্র সিং ধোনি ও অ্যাডাম গিলক্রিস্টের মতো কিংবদন্তিদের ছাড়িয়ে গেছেন। এশিয়ার প্রথম উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩১টি সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি এখন তার দখলে।  

বৈশ্বিক রেকর্ডের হিসেবে অবশ্য আকমলের অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষস্থানে থাকা সাবেক ইংলিশ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান লেস অ্যামেসের সেঞ্চুরিসংখ্যা ৫৬। আর ২৯ সেঞ্চুরি নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন গিলক্রিস্ট।

এদিকে ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক বলা হয় বিশ্বকাপজয়ী ধোনিকে। উইকেটরক্ষক হিসেবেও তিনি বিশ্বসেরাদের একজন। কিন্তু ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে তিনি অনেকের চেয়ে পিছিয়ে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরি মাত্র ৯টি আর ফিফটি ৪৭টি।

আলোচনার অনেক বাইরে থাকা আকমল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৩৬ ম্যাচ খেলে ১২ হাজার ৪৯৬ রান করেছেন। একসময় পাকিস্তান দলের নিয়মিত মুখ আকমল ২০১৭ সালে উইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন। পাকিস্তানের জার্সিতে ৫৩ টেস্ট, ১৫৭ ওয়ানডে ও ৫৮টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৬ হাজারের বেশি রান করেছেন তিনি।

দলে না থাকলেও গত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর জাতীয় দল, বোর্ড এবং কোচিং স্টাফদের ধুয়ে দিয়েছিলেন আকমল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাপোর্ট স্টাফদের বরখাস্তের দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি।  

পিসিবি অবশ্য ঠিকই বিশ্বকাপের পর পুরো কোচিং প্যানেলকে বরখাস্ত করে এবং সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হককে প্রদান কোচ ও প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেয়। আর বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় সাবেক অধিনায়ক ও কোচ ওয়াকার ইউনিসকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।