ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

অন্যায় করলে বিসিবিও ছাড় দেবে না: পাপন

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
অন্যায় করলে বিসিবিও ছাড় দেবে না: পাপন নাজমুল হাসান পাপন/ছবি: সংগৃহীত

ক্যাসিনো ইস্যুতে দেশের ক্রীড়াঙ্গন বেশ উত্তাল। মতিঝিলের বেশ কয়েকটি ক্লাবে ক্যাসিনো সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ পাওয়া গেছে। এরপর ক্রিকেট বোর্ডের দুই পরিচালকের বিরুদ্ধে মদ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে এবং ইতিমধ্যে এক পরিচালক র‍্যাবের হাতে গ্রেফতারও হয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসবভনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। জানিয়ে দেন অন্যায়ের কোনো ক্ষমা হবে না।


 
ক্যাসিনো চালাতে ক্লাবের জায়গা ভাড়া দিয়েছিলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডাইরেক্টর ইন–চার্জ ও বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। এই লোকমানের সঙ্গে বিসিবি প্রধানের বন্ধুত্বের কথা এখন আলোচিত বিষয়। তবে এ নিয়ে বিসিবি প্রধান পাপন বলেন, ‘যেটা বুঝি যে কেউ যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে তার শাস্তি হবে। এটাতে তো কারও কোনো দ্বিমত হওয়ার কিছু নেই।  আগে জানতে হবে কে কে এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িত আছে। আরও নাম আসতে পারে এখানে, তবে সব কিছু পুরোপুরি না জেনে আগেই এগুলো নিয়ে কোনো মন্তব্য করাটা উচিত হবে না। তবে যদি কেউ অন্যায় করে তবে তার বিচার হবে, এখানে ছাড়ের কোনো প্রশ্নই ওঠবে না। বিসিবিও এতে কোনো ছাড় দেবে না। কিন্তু এখন ভাববার সময় এসেছে ক্লাবগুলো কীভাবে পরিচালিত হবে সেটা নিয়ে। ’
 
বিসিবি’র পরিচালক মাহবুবুল আনামের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু বিসিবি প্রধান এটা নিয়ে 'বিব্রত' নন। বরং তিনি এখনই এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না বলেই জানালেন।  পাপন বলেন, ‘যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি হবে এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। দুদক যে কারো কাছেই সম্পদের হিসেব চাইতে পারে। তার মানে এটা নয় যে, যার কাছে সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে তিনি অনৈতিক বা বেআইনি কোনো কাজ করেছেন। '

ক্লাবগুলোতে যে জুয়া খেলা হতো এটা নাকি জানতেন না বিসিবি প্রধান। আর লোকমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক অনেক দিনের। ছাত্র জীবনের বন্ধুকে নিজেই ২০১২ সালে ক্রিকেট বোর্ডে নিয়ে আসেন তিনি। তবে লোকমানের সঙ্গে ক্যাসিনোর নাম জড়িয়ে পড়ায় বেশ অবাক হয়েছেন পাপন, 'আমি জানতাম লোকমান জীবনে মদ খায়নি। সে জীবনে কোনো দিন জুয়া খেলেনি। কিন্তু এটাও সত্যি যে সে ক্যাসিনো ভাড়া দিয়েছে। এখানে অস্বীকার করার উপায় নেই। সে যদি করে থাকে তাহলে তার বিচার হবে। এখন প্রমাণিত হওয়ার আগে তো আমরা কিছু বলতে পারছি না যে আসলে ঘটনাটা কী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, দেশে আইন আছে। যে দোষ করেছে তার শাস্তি হবে, এটি নিয়ে আমাদের কিছু বলার থাকতে পারে না। '

পাপন আরও বলেন, 'এটি আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি ক্লাবে তাস খেলা হয়। এই তাস খেলা যে এখন ক্যাসিনোতে চলে এসেছে সত্যি বলছি এই ব্যাপারে আমার  কোনো ধারণা ছিল না। আমাকে লোকমান কোনো দিন বলেনি যে ক্লাবে ক্যাসিনো আছে।  সে কিন্তু আমার বন্ধু। এটা কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার। ' 
 
এসময় পাপন ক্যাসিনোর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনোর সঙ্গে বোর্ডের কারও সংশ্লিষ্টতা যদি থাকে তাহলে প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে। যারা জড়িত বা ধরা পড়বে তাদের বিচার হবে। এটা আমরাও চাই। আমরা আশা করি এটার সুষ্ঠু বিচার হোক। যারা দোষী আছে তারা ধরা পড়ুক। বিসিবিও ছাড় দেবে না। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
আরএআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।