ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ত্রিনবাগোকে হারিয়ে সিপিএলের ফাইনালে সাকিবের দল 

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
ত্রিনবাগোকে হারিয়ে সিপিএলের ফাইনালে সাকিবের দল  সাকিব আল হাসান: ছবি-সংগৃহীত

ব্যাট হাতে ঝড়ো ১৮ রান করলেও বল হাতে ব্যর্থ ছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে তাতেও আটকায়নি তার দল বার্বাডোস ট্রাইডেন্টেসের দু্র্দান্ত জয়। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ১২ রানের জয় তুলে নিয়েছে সাকিবের দল। এই জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বার্বাডোস। রোববার (১৩ অক্টেবর) ফাইনালে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের মুখোমুখি হবেন সাকিবরা।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ভোরে হওয়া ম্যাচটিতে তারোবার ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ত্রিনবাগো অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে দেখে-শুনে ব্যাট চালাতে থাকেন বার্বাডোসের দুই ওপেনার জনসন চার্লস ও অ্যালেক্স হেলস।

 

কিন্তু দলীয় ২৭ রানের মাথায় খেরি পিয়েরে স্টাম্প ভেঙে দেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান হেলসের (১০)। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে শ্লথ হয়ে পড়া রানের গতিতে হাওয়া দেন সাকিব। কিন্তু বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ইনিংসটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১২ বলে ১ চার ও ১ ছ্ক্কায় ঝড়ো ১৮ রান তুলে বাংলদেশি তারকা পিয়েরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হোন। দলীয় ৭৪ রানে ফেরেন চার্লস (৩৫)। এরপর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ব্যক্তিগত ১০ রানের মাথায় জেপি ডুমিনি মাঠ ছাড়লে চাপে পড়ে বার্বাডোস।  

তবে শাই হোপ জাগিয়ে তুলেন আশা। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হোন জোনাথন কার্টার (৪) ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (১)। হোপও (২৩) অবশ্য বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি। শেষদিকে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান রেইমন রেইফার (২৪) ও অ্যাশলে নার্সের (২৪) ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট ১৬০ রানের সংগ্রহ পায় বার্বাডোস।  

ত্রিনবাগোর হয়ে দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন পিয়েরে, আলি খান ও ক্রিস জর্ডান।  

জবাব দিতে নামা সুনীল নারাইন ও লেন্ডন সিমন্সের সামনে শুরুতে বল হাতে আসেন সাকিব। কিন্তু বোলিংয়ে নির্বিষ ছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার। ২ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি।  

তবে নিজে উইকেট না পেলেও তার সতীর্থ বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ত্রিনবাগোর ব্যাটসম্যানরা। নারাইন (১৭) শুরুতে ঝড় তুললেও দলীয় ১৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেন। তার আগে আউট হোন আরেক সিমন্স (১)। কলিন মুনরো (১৬) ও উইকেটরক্ষক দিনেশ রামদিন (২১) ধাক্কাটা কাটিয়ে ওঠতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।  

ব্যর্থ হোন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভোও (২)। ত্রিনবাগোকে পথ দেখান পোলার্ড। ১৬ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনিও। এর পরপরই বার্বাডোসের কপালে চিন্তার ভাঁজে এঁকে দেন প্রসন্ন। তার ২৭ বলে ৫১ রানের সুবাদে ম্যাচটা নিজেদের দিকে টেনে আনে ত্রিনবাগো। তবে প্রসন্ন রেইফারের বলে এলবিডব্লিউ’র শিকার হলে বেঁচে যায় বার্বাডোস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ চার ও ৪ ছক্কায়।  

শেষদিকে আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় ১৪৮ রানেই থমকে যায় ত্রিনবাগোর ইনিংস। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ২ উইকেটে ১৪ রান। তবে তা আর সম্ভব হয়নি পোলার্ডের দলের।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।