২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জামশেদেরে ওপর অভিযোগ তোলে ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম অ্যাজেন্সি (এনসিএ)। গত বছর ব্রিটিশ এজেন্সি জানায়, ‘এনসিএ’র তদন্তে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত টুর্নামেন্টে তিনজনের বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অপরাধ পাওয়া গেছে।
জামশেদ ছাড়াও বাকি দুই অপরাধী হলেন ইউসেফ আনোয়ার ও মোহাম্মদ ইজাজ। এই দুই যুক্তরাজ্যের নাগরিকের সঙ্গে মিলে পিএসএলে অন্যান্য ক্রিকেটারদেরকে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন জামশেদ।
শুরু থেকে অবশ্য নিজের অপরাধ স্বীকার করেননি জামশেদ। কিন্তু সোমবার ম্যানচেস্টার ক্রাউন কোর্টের শুনানিতে নিজের বক্তব্যের ওপর অনড় থাকতে পারেননি তিনি। ফিক্সিংয়ের অভিযোগ স্বীকার করে নেন ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
এএফপি’র এক প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, শুনানির সময় এক প্রসেকিউটর বলেন, এক পুলিশ বেটিং সিন্ডিকেটের এক সদস্য হওয়ার ভান করে তদন্তে নামে। তদন্তে তিনি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এবং ২০১৭ সালে পিএসএলে জামশেদদের ফিক্সিংয়ের চেষ্টার ঘটনা খুঁজে পান।
এই অপরাধে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ব্রিটেন কোর্টের শুনানিতে ১০ বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন জামশেদ। একই অপরাধে গত বছরের আগস্টে তাকে সমান সময় নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
তদন্তে জানা যায়, জামশেদ ২০১৬ সালের বিপিএলের আসরে দু’টি এবং পিএসএলে একটি ম্যাচ স্পট ফিক্সিং করতে চেয়েছিলেন। পিএসএলে সফল হলেও বিপিএলে পারেননি।
আগামী বছর ০৯ ফেব্রুয়ারি জামশেদ ও তার দুই সহযোগির ওপর কী শাস্তি হবে তার আনুষ্ঠানিক রায় দেবেন ম্যানচেস্টারের ক্রাউন কোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বরের ১০, ২০১৯
ইউবি/এমএমএস