এবারের আসরটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে আয়োজন করছে। ফলে থাকছে না কোনো ব্যক্তি মালিকানা ফ্র্যাঞ্চাইজি।
চ্যাম্পিয়ন দল:
২০১২-ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস (প্রতিপক্ষ বরিশাল বার্নাস)
২০১২-১৩-ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস (চিটাগং কিংস)
২০১৫-১৬-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (বরিশাল বুলস)
২০১৬-১৭-ঢাকা ডায়নামাইটস (রাজশাহী কিংস)
২০১৭-১৮-রংপুর রাইডার্স (ঢাকা ডায়নামাইটস)
২০১৮-১৯-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (ঢাকা ডায়নামাইটস)
দলীয় রেকর্ড
সব দলের সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান:
# চিটাগং-৭২ ম্যাচ, ৩০ জয়, ৪১ হার, ১ টাই, ৪১.৬৭ শতাংশ জয়।
# কুমিল্লা-৫২ ম্যাচ, ৩৩ জয়, ১৯ হার, ৬৩.৪৬ শতাংশ জয়।
# ঢাকা-৭৯ ম্যাচ, ৪৮ জয়, ৩১ হার, ৬০.৭৫ শতাংশ জয়।
# খুলনা-৬১ ম্যাচ, ২৫ জয়, ৩৫ হার, ১ টাই, ৪০.৯৮ শতাংশ জয়।
# রাজশাহী-৬৩, ৩০ জয়, ৩৩ হার, ৪৭.৬২ শতাংশ জয়।
# রংপুর-৬৫ ম্যাচ, ৩৫ জয়, ৩০ হার, ৫৩.৮৫ শতাংশ জয়।
# সিলেট-৫৭ ম্যাচ, ২৩ জয়, ৩৪ হার, ৪০.৩৫ শতাংশ জয়।
# বরিশাল-৪৯ ম্যাচ, ২৪ জয়, ২৫ হার, ৪৮.৯৮ শতাংশ জয়।
দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর:
বিপিএলের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ রংপুর রাইডার্সের। ২০১৯ মৌসুমে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করেছিল দলটি।
দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর:
বাজে এই রেকর্ডের মালিক খুলনা টাইটান্স। ২০১৬ মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১০.৪ ওভারে মাত্র ৪৪ রানে গুটিয়ে যায় তারা।
সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড:
সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ধরে রেখেছে সিলেট রয়্যালস। ২০১৩ মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের ১৯৮ রানের টার্গেটে ইনিংসের শেষ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় পায় সিলেট।
রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয়:
চিটাগং কিংস রানের হিসাবে বিপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জয়টি পেয়েছে। ২০১৩ মৌসুমে সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে ১১৯ রানে জয় পায় দলটি। যেখানে সিলেটকে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল চিটাগং কিংস।
উইকেটের হিসাবে বড় জয়:
উইকেট বিবেচনায় সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে তিনটি দল। বরিশাল বার্নাস, চিটাগং ভাইকিংস ও সিলেট সিক্সার্স জয় পেয়েছে ১০ উইকেটে। ২০১২ মৌসুমে সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে ১৬৬ রান তাড়ায় ১৩.১ ওভারে বরিশাল বার্নাস, ২০১৫ মৌসুমে সিলেট সুপার স্টারর্সের বিপক্ষে ১৪০ রানের লক্ষে ১৬.১ ওভারে চিটাগং ভাইকিংস ও ২০১৭ মৌসুমে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৬৮ রানের টার্গেটে ১১.১ ওভারে সিলেট সিক্সার্স জয় পায়।
রানের হিসাবে সবচেয়ে ছোট জয়:
চিটাগং ভাইকিংস, বরিশাল বুলস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স সর্বনিম্ন এক রানে জয় পায়। ২০১৫ মৌসুমে সিলেট সুপার স্টারর্সের বিপক্ষে চিটাগং ভাইকিংস ১৮১ রান টার্গেট দিয়ে ও একই দলের বিপক্ষে বরিশাল বুলস ১০৯ রানের টার্গেট দিয়ে এক রানে জয় পায়। আর ২০১৯ মৌসুমে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ১২৮ রান টার্গেট দিয়ে এক রানের জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
উইকেটের হিসাবে সর্বনিম্ন জয়:
সিলেট রয়্যালস উইকেটের হিসাবে সর্বনিম্ন জয়ের রেকর্ডটি ধরে রেখেছে। ২০১৩ মৌসুমে বরিশাল বার্নাসের বিপক্ষে ১৪৫ রান তাড়ায় ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে এক উইকেটের জয় পায় সিলেট রয়্যালস।
ব্যাটিং রেকর্ড
সব আসর মিলিয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান:
এই রেকর্ডে সবার ওপরে বাংলাদেশের তামিম ইকবাল। এখন পর্যন্ত চারটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে প্রতিটি আসরেই খেলা তামিম ৫৮ ম্যাচে ৩৫.৭৮ গড়ে ১৮২৫ রান করেছেন। যেখানে একটি সেঞ্চুরি ও ১৬টি ফিফটিসহ তার এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ১৪১ (অপরাজিত)।
এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান:
দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলে রুশোর এই রেকর্ডটি রয়েছে। ২০১৯ মৌসুমে তিনি ১৪ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও ৫টি ফিফটিতে ৬৯.৭৫ গড়ে ৫৫৮ রান করেছেন।
এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা ক্রিস গেইল এই রেকর্ডের মালিক। ২০১৭ মৌসুমে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে মাত্র ৬৯ বলে ১৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন এই রংপুর রাইডার্স ব্যাটসম্যান।
বিপিএলের সর্বোচ্চ ছক্কার ব্যাটসম্যান:
পাঁচটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে প্রতিটি মৌসুমে খেলা ক্রিস গেইল ৩৮ ম্যাচে রেকর্ড ১২০টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা:
ক্যারবীয় দানব গেইল ২০১৭ মৌসুমে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে এক ম্যাচেই ১৮টি ছক্কা মারেন।
সেরা স্ট্রাইক রেট:
উইন্ডিজ অলরাউন্ডার কার্লোস ব্র্যাথওয়েট এখন পর্যন্ত ১৭ ম্যাচে রেকর্ড ১৭৪.১৫ স্ট্রাইক রেটে ৩১০ রান করেছেন। যেখানে তিনি ১৭৮টি বল মোকাবিলা করেছেন।
সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ রেকর্ড:
২০১৭ মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২০১ রান তুলে অপরাজিত থাকেন ক্রিস গেইল ও ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম।
বোলিং রেকর্ড
সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড:
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের একক আধিপত্য। চারটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আগের ছয়টি আসরে ৭৬ ম্যাচ খেলে রেকর্ড ১০৬টি উইকেট পেয়েছেন সাকিব।
এক মৌসুমে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি:
এখানেও সাকিব রয়েছেন সবার ওপরে। ২০১৯ মৌসুমে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ১৫ ম্যাচ খেলে ২৩টি উইকেট নেন তিনি।
এক ম্যাচে সেরা বোলিং:
২০১২ মৌসুমে পাকিস্তানের মোহাম্মদ সামি এই রেকর্ডটি গড়েছিলেন। সেবার দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের বিপক্ষে ৩.২ ওভারে ১.৮০ ইকোনোমিতে ৬ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।
সেরা ইকোনোমি রেট:
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ১৫ ম্যাচ খেলা আফগানিস্তানের রশিদ খানের ইকোনোমিই এখন পর্যন্ত বিপিএলের রেকর্ড। ওভার প্রতি তিনি মাত্র ৫.৩১ রান দিয়েছেন।
সেরা গড়:
ভিন্ন চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ৩৮ ম্যাচ খেলা ক্যারিবীয় কেভন কুপার একটি উইকেট পেতে ১৪.০১ রান দিয়েছেন।
এক ইনিংসে সবচেয়ে খরুচে বোলার:
বাংলাদেশের মোহাম্মদ সাদ্দাম ২০১৯ মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে খুলনা টাইটান্সের হয়ে ৪ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
হ্যাটট্রিকের রেকর্ড:
এখন পর্যন্ত বিপিএল ইতিহাসে পাঁচ বোলার অনন্য এই রেকর্ডের মালিক হয়েছেন। ২০১২ মৌসুমে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের বিপক্ষে দুরন্ত রাজশাহীর মোহাম্মদ সামি, ২০১৫ মৌসুমে সিলেট সুপার স্টার্সের বিপক্ষে বরিশাল বুলসের আল-আমিন ও ২০১৯ মৌসুমে যথাক্রমে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঢাকা ডায়নামাইটসের আলিস ইসলাম, খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওহাব রিয়াজ, এছাড়া চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ঢাকা ডায়নামাইটসের আন্দ্রে রাসেল।
উইকেটকিপিং রেকর্ড
সর্বোচ্চ ডিসমিসাল:
বিপিএলের প্রথম আসর থেকে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে উইকেটের পেছনে মোট ৫৮ ম্যাচে দাঁড়িয়েছেন মুশফিকুর রহিম। যেখানে ৩৬টি ক্যাচ ও ৮টি স্ট্যাম্পিংয়ে মোট ৪৪টি ডিসমিসালে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
এক মৌসুমের সর্বোচ্চ ডিসমিসাল:
২০১৯ মৌসুমে ঢাকা ডায়নামাইটসে খেলা নুরুল হাসান ১৫ ইনিংসে মোট ১৯টি ডিসমিসাল পেয়েছেন। যেখানে ছিল ১৫টি ক্যাচ ও ৪টি স্ট্যাম্পিং।
এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডিসমিসাল:
২০১৬ মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের হয়ে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ ও রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে রাজশাহী কিংসের উমর আকমল ৫টি ডিসমিসাল করেছেন।
ফিল্ডিং রেকর্ড
সর্বোচ্চ ক্যাচ:
২০১২ সাল থেকে প্রতিটি মৌসুমে খেলে তিনটি ভিন্ন দলের হয়ে ৭৫ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪২টি ক্যাচ নিয়ে রেকর্ডের মালিক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ক্যাচ:
২০১৭ মৌসুমে মাহমুদউল্লাহ খুলনা টাইটান্সের হয়ে ১২ ম্যাচে ১৩টি ক্যাচ নিয়েছেন।
এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ক্যাচ:
২০১৭ মৌসুমে সিলেট সিক্সার্সের সাব্বির রহমান চিটাগং কিংসের বিপক্ষে এক ম্যাচে ৪টি ক্যাচ নিয়েছিলেন। তবে সমান চারটি ক্যাচ ক্যামেরন ডেলপোর্ট, অ্যাডাম লিথ ও কার্লোস ব্র্যাথওয়েটও নিয়েছেন।
অন্যান্য রেকর্ড:
# সবচেয়ে বেশি জয়: ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস/ঢাকা ডায়নামাইটস-৪৮টি।
# সবচেয়ে বেশি হার: চিটাগং কিংস/চিটাগং ভাইকিংস-৪১টি।
# জয়ের সবচেয়ে ভালো গড়: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স-৬৩.৪৬ শতাংশ।
# সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি: ক্রিসে গেইল-৫টি।
# সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরি: তামিম ইকবাল-১৭টি।
# সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার: সাকিব আল হাসান-৭৬টি।
# অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ: মাশরাফি বিন মর্তুজা-৭৩টি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এমএমএস