শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এমন কথাই জানান বিসিবি’র সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে সরকারের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদন এখনো হাতে পায়নি বিসিবি।
পাকিস্তান সফরের সম্ভাব্যতা নিয়ে পাপন বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম। এর আগে মেয়েদের দল, এইচপি দল খেলে এসেছে। জাতীয় দলের ছাড়পত্র এখনো আমরা পাইনি। যদি নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রশ্ন করেন, সেটা অনূর্ধ্ব-১২ হোক, জাতীয় দল হোক, নিরাপত্তা নিরাপত্তাই। সবার জন্য একই হওয়ার কথা। তাই আমরা ধরে নিচ্ছি, সম্ভাবনা রয়েছে আমরা নিরাপত্তা ছাড়পত্র পেয়ে যাব। তারপরও যেহেতু আমরা হাতে পাইনি কাগজটা এবং ওনারা গিয়েছেন, দেখেছেন। সেক্ষেত্রে আমরা আমরা আশা করছি যেকোনো দিন পেয়ে যাব। পাওয়ার পর বলতে পারব আমাদের সিদ্ধান্তটা কী হবে। ’
পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদন ইতিবাক হলেও এখানে ক্রিকেটারদের মতামতের ওপর গুরুত্ব দেবে বিসিবি বলেও জানান বোর্ড সভাপতি, ‘এখানেও বড় প্রশ্ন আছে প্লেয়ারদের। তাদের মতামতও এখানে গুরুত্বপূর্ণ কে যেতে চায় বা চায় না। এখানে অনেকগুলো ব্যাপার আছে। বোর্ডের সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে। সবমিলিয়ে সবকিছু প্রায় শেষের দিকে আছে। নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়ার পরই আমরা বসব। আশা করছি আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে এটার একটা ডিসিশন নিতে পারব। ’
ক্রিকেটার যারা যেতে চাইবে না তাদের ওপর কোনো চাপ দেয়া হবে না বলেও জানান পাপন। তিনি বলেন, ‘এটা তো জোর করার কিছু নেই। বোর্ড থেকে কাউকে জোর করে পাঠানো হবে না। এটা হলো এখন পর্যন্ত আমার চিন্তা। কাউকে জোর করে পাঠানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বিকল্প টিম যাবে নাকি ওরাই যাবে সেটি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
আরএআর/এমএইচএম