অথচ একদিন আগেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সভাপতি এহসান মানি এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, পাকিস্তানের সব ম্যাচ পাকিস্তানেই হবে। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চাইলেও পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ খেলতে অনীহা প্রকাশ করায় পাকিস্তান কোচ মিসবাহ উল হক ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।
আসছে জানুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের।
পাকিস্তান সফর প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) নিজামউদ্দিন জানান, বিসিবি পিসিবির ব্যাপারটি বুঝেছে। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়টিও দেখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান অবশ্যই তাদের দেশে পূর্ণ সিরিজটি আয়োজন করতে চাইবে। তবে আমাদের খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের দিকও বিবেচনা করতে হবে। ম্যাচের পরিবেশও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানে লম্বা সফর সূচিতে অনান্যদের মতাতমও দেখা দরকার। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক প্রস্তাবনা হচ্ছে, অল্প সময়ের মধ্যে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্ট পরিস্থিতিটা মূল্যায়ন করুক। ’
সম্প্রতি ১০ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে অক্টোবর ও ডিসেম্বরে দুই ভাগে লঙ্কানরা পাকিস্তান সফরে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলেছে। ওয়ানডে সিরিজে তো দেশটির প্রথমসারির কোনো ক্রিকেটারই সফর করেনি। তবে দুই সিরিজেই কোনো আপত্তিকর ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে ২০০৯ সালে এই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের টিম বাসেই সন্ত্রাসী হামলা হয়। পরবর্তীতে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনে একপ্রকার নির্বাসিতই ছিল পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এমএমএস