বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের পাপন বলেন, ‘পাকিস্তান সফরে কোচিং স্টাফ ও অনেক ক্রিকেটার যেতে চান না। এই সফরে নিয়ে তাদের পরিবারও উদ্বিগ্ন।
বিসিবি প্রধান বলেন, 'এটা এখনও প্রক্রিয়াধীন। ফাইনাল সিদ্ধান্ত এখনই হয়ে যাচ্ছে এরকম কিছু না। পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে অনেকগুলো ইস্যু জড়িয়ে আছে। আমরা খেলতে যাব কিনা এটা একটা বিষয়। এছাড়া বোর্ডের বাইরে আমাদের খেলোয়াড়রা আছে, কোচিং স্টাফ আছে। ওদের একটা মতামতের ব্যাপার আছে। ওরা খেলতে যাবে কি যাবে না এটা একটা ব্যাপার। সবচেয়ে বড় সিকিউরিটি ইস্যু, সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যাবে কিনা। সিকিউরিটি সিস্টেম যেটা পাকিস্তান দিচ্ছে এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কারণ নেই। আমি নিজেও দেখে এসেছি, মেয়েরা গিয়েছে, আমাদের অনূর্ধ্ব-১৬ টিমটা গিয়েছে। ওদের কাছ থেকে যে ফিডব্যাকটা পেয়েছি যে সিকিউরিটি সিস্টেম ভালো। '
তিনি আরও বলেন, 'সিকিউরিটি সিস্টেমের বাইরেও পাকিস্তানে একটা রিস্ক ফ্যাক্টর কাজ করে। কোচিং স্টাফরা যাবে কিনা সেটাও দেখতে হবে। কারণ আগেই অনেকে জানিয়ে দিয়েছে, ওরা যাবে না। আবার কেউ কেউ বলেছে যেতে পারে, তবে অল্প সময়ের জন্য। যদিও কোচিং স্টাফদের বেশিরভাগই যেতে রাজি হয়নি এখন পর্যন্ত। ওরা বলেছে বেশিরভাগই যেতে চায় না। আমি জানতে চাচ্ছিলাম যেতে চাইলেও কেন অল্প সময়ের জন্য। সেটাতে অনেকগুলো ফ্যাক্টর আছে। একটা হচ্ছে তাদের ফ্যামিলি। তারা বলছে, আমাদের বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন সকলে খুব চিন্তিত পাকিস্তান সফর নিয়ে। ওদেরকে বলছে না গেলে কি হয়? আমি কথা বলেছি সবাই রেসপন্স করছে। তাদের ফ্যামিলি বেশি চিন্তায় থাকবে আর এরকম সিকিউরিটিতে কতদিন থাকা যায়?'
সম্প্রতি ১০ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে অক্টোবর ও ডিসেম্বরে দুই ভাগে লঙ্কানরা পাকিস্তান সফরে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলেছে। ওয়ানডে সিরিজে তো দেশটির প্রথমসারির কোনো ক্রিকেটারই সফর করেনি। তবে দুই সিরিজেই কোনো আপত্তিকর ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে ২০০৯ সালে এই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের টিম বাসেই সন্ত্রাসী হামলা হয়। পরবর্তীতে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনে নির্বাসিতই ছিল পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
আরএআর/এমএমএস/এমএইচএম