পাকিস্তান জাতীয় দলের এমন বৈষম্যের খবরে নড়েচড়ে উঠেছে ক্রিকেট বিশ্ব। কানেরিয়া নিজেও শোয়েব আখতারের মন্তব্য সত্যি বলে জানিয়েছেন।
দেশের নাম ক্ষুন্ন করায় কানেরিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে একজন জাভেদ মিঁয়াদাদ। যখন ক্রিকেট বিশ্ব ৩৯ বছর বয়সী স্পিনারকে সমর্থন দিচ্ছে তখন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক সমালোচনা করেছেন কানেরিয়ার। মিঁয়াদাদ জানিয়েছেন, পাকিস্তান যদি তাদের সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করতো তবে কানেরিয়া কখনো জাতীয় দলে খেলতে পারতো না।
পিটিআই নিউজকে ৬২ বছর বয়সী সাবেক ব্যাটসম্যান বলেন, ‘পাকিস্তান তাকে (কানেরিয়া) অনেক স্বীকৃতি দিয়েছে এবং সে ১০ বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে। ধর্মীয় এমন ইস্যু থাকলে কি এটা সম্ভব হতো?’
মিঁয়াদাদ আরও জানান, ইমরান তাহির (যিনি পরে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেছেন), আলী হুসাইন এবং এমনকি মনসুর আমজাদ থাকা সত্ত্বেও লেগ-স্পিনার হিসেবে পাকিস্তান দলে কানেরিয়া সুযোগ পেয়েছিলেন।
‘হিন্দু হওয়ায় যদি কোনো সময় পক্ষপাতমূলত আচরণের শিকার হয়, তবে এটা কিভাবে সম্ভব হতো? পাকিস্তানে, আমাদের মধ্যে কখনো ধর্মীয় পক্ষপাতমূলক কিছু ছিল না’, যোগ করেন মিঁয়াদাদ।
মিঁয়াদাদ তার বক্তব্যের ইতি টানেন ক্রিকেটার হিসেবে কানেরিয়ার যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং সমালোচনা করে। ইংলিশ কাউন্টিতে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় ক্রিকেট থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া কানেরিয়ার অতীতটাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক বলেন, ‘তারা কি অর্জন করতে চেষ্টা করছে আমি তা বুঝতে পারছি না। তবে আপনি যদি কানেরিয়ার সম্পর্কে কথা বলেন, টাকার জন্য সে যেকোনা কথাই বলতে পারে এবং ক্রিকেট ছাড়ার পর তার কথার কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। ’
মিঁয়াদাদ আরও বলেন, ‘দুর্নীতির জন্য ক্রিকেট থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ এমন একজনের কথা কিভাবে আপনি বিশ্বাস করতে পারেন? কে তার দেশকে নিচে নামিয়েছে? আমি ২০০০ সালের গোড়ার দিকে পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রধান কোচ ছিলাম এবং কানেরিয়া দলে ছিল এবং আমার এমন কিছুই মনে পড়ছে না, যে হিন্দু হওয়ায় সেখানে তেমন কিছু ঘটনা ঘঠেছিল। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
ইউবি/এমএমএস