ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

টাকার জন্য কানেরিয়া যেকোনো কথাই বলতে পারে: মিঁয়াদাদ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
টাকার জন্য কানেরিয়া যেকোনো কথাই বলতে পারে: মিঁয়াদাদ জাভেদ মিঁয়াদাদ ও দানিশ কানেরিয়া

বলতে গেলে, বোমাই ফাটিয়েছেন শোয়েব আখতার। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস খ্যাত এই তারকা এক টিভি শো’তে এসে জানান, দানিশ কানেরিয়া হিন্দু হওয়ায় পাকিস্তান জাতীয় দলে বৈষম্যের শিকার হতেন। এমনকি তার সঙ্গে বসে খেতেও চাইতো না সতীর্থরা।

পাকিস্তান জাতীয় দলের এমন বৈষম্যের খবরে নড়েচড়ে উঠেছে ক্রিকেট বিশ্ব। কানেরিয়া নিজেও শোয়েব আখতারের মন্তব্য সত্যি বলে জানিয়েছেন।

যারা তাকে পছন্দ করতো না তাদের নামও প্রকাশ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন সাবেক এই পাকিস্তানি লেগ-স্পিনার। কেবল তাই নয়, নিজের ওপর ঘটে যাওয়া এই ঘটনার জন্য কানেরিয়া পাকিস্তানের প্র্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছেও সাহায্য চেয়েছিলেন।

দেশের নাম ক্ষুন্ন করায় কানেরিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে একজন জাভেদ মিঁয়াদাদ। যখন ক্রিকেট বিশ্ব ৩৯ বছর বয়সী স্পিনারকে সমর্থন দিচ্ছে তখন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক সমালোচনা করেছেন কানেরিয়ার। মিঁয়াদাদ জানিয়েছেন, পাকিস্তান যদি তাদের সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করতো তবে কানেরিয়া কখনো জাতীয় দলে খেলতে পারতো না।

পিটিআই নিউজকে ৬২ বছর বয়সী সাবেক ব্যাটসম্যান বলেন, ‘পাকিস্তান তাকে (কানেরিয়া) অনেক স্বীকৃতি দিয়েছে এবং সে ১০ বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে। ধর্মীয় এমন ইস্যু থাকলে কি এটা সম্ভব হতো?’

মিঁয়াদাদ আরও জানান, ইমরান তাহির (যিনি পরে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেছেন), আলী হুসাইন এবং এমনকি মনসুর আমজাদ থাকা সত্ত্বেও লেগ-স্পিনার হিসেবে পাকিস্তান দলে কানেরিয়া সুযোগ পেয়েছিলেন।

‘হিন্দু হওয়ায় যদি কোনো সময় পক্ষপাতমূলত আচরণের শিকার হয়, তবে এটা কিভাবে সম্ভব হতো? পাকিস্তানে, আমাদের মধ্যে কখনো ধর্মীয় পক্ষপাতমূলক কিছু ছিল না’, যোগ করেন মিঁয়াদাদ।

মিঁয়াদাদ তার বক্তব্যের ইতি টানেন ক্রিকেটার হিসেবে কানেরিয়ার যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং সমালোচনা করে। ইংলিশ কাউন্টিতে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় ক্রিকেট থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া কানেরিয়ার অতীতটাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক বলেন, ‘তারা কি অর্জন করতে চেষ্টা করছে আমি তা বুঝতে পারছি না। তবে আপনি যদি কানেরিয়ার সম্পর্কে কথা বলেন, টাকার জন্য সে যেকোনা কথাই বলতে পারে এবং ক্রিকেট ছাড়ার পর তার কথার কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। ’

মিঁয়াদাদ আরও বলেন, ‘দুর্নীতির জন্য ক্রিকেট থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ এমন একজনের কথা কিভাবে আপনি বিশ্বাস করতে পারেন? কে তার দেশকে নিচে নামিয়েছে? আমি ২০০০ সালের গোড়ার দিকে পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রধান কোচ ছিলাম এবং কানেরিয়া দলে ছিল এবং আমার এমন কিছুই মনে পড়ছে না, যে হিন্দু হওয়ায় সেখানে তেমন কিছু ঘটনা ঘঠেছিল। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
ইউবি/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।