ঝক্কি আর সময় বাঁচাতে অনেকের মধ্যেই 'জাঙ্ক ফুড' (রেস্টুরেন্টে কিংবা ফাস্ট ফুডের দোকানে) খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। শোয়েব আখতারের মতে, প্রতিনিয়ত 'জাঙ্ক ফুড' (বাড়তি তেল, বাড়তি লবণ-চিনি ও চর্বির মতো ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে প্রস্তুত করা খাবার) খেয়ে সবাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বারোটা বাজাচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৯১ হাজার ৭৭৩ জন মানুষ। মৃতের সংখ্যা ২২ হাজার ১৭৪। এই সংখ্যা প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে এবং সারা পৃথিবীই এখন করোনার কারণে একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে গেছে। নিজের ইউটিউব ভিডিওতে ফিট থাকতে এই সময়ে ঘরে বসেই ব্যায়াম করার উপদেশ দিয়েছেন শোয়েব।
'রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস' বলেন, 'আমরা যদি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাই তাহলে আমাদের পাকস্থলীকে ভালো অবস্থায় রাখতে হবে। আমাদের অবশ্যই নিজেদের দিকে আঙুল তুলতে হবে কারণ গত ২০ বছর ধরে আমরা জাঙ্ক ফুড খেয়ে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সর্বনাশ করেছি। আমরা যদি ঘরের খাবার খেতাম আর হালকা পানীয় বর্জন করতাম তাহলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও ভালো থাকতো। এই ভাইরাস সামনে এগিয়ে আসেনি বরং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে। '
শুধু তাই না, অল্প জ্ঞান নিয়েও যারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যারা লাইভে গিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভ্রান্ত পরামর্শ দিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং গোজব ছড়াচ্ছেন তাদেরও একহাত নিয়েছেন শোয়েব আখতার। লাইক আর কমেন্টের পেছনে না দৌড়ে সমাজের উপকার হয় এমন কিছু করার উপদেশও দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'করোনা ভাইরাস নিয়ে এখন সবাই ভিডিও বানাচ্ছে এবং আমি বুঝতে পারছি না কেন তারা এই কঠিন পরিস্থিতি থেকেও ফায়দা লুটতে চাইছে। আমাদের এখন হোয়াটস অ্যাপে করোনা ভাইরাস নিয়ে কৌতুক করা বন্ধ করার সময় হয়েছে। এর বদলে এখন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো উত্তম। এটা (কোভিড-১৯) একটা সিরিয়াস রোগ। '
এই বিষয়ে এবারই প্রথম কথা বলছেন না শোয়েব আখতার। এর আগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ের মধ্যেই যারা 'পিকনিক মুডে' আছে তাদেরও একহাত নেন তিনি। ইউটিউব ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমি অনেক দরকারি কাজে বাইরে গিয়েছিলাম। আমি কারও সঙ্গে এই সময়ে হাত মেলানো ও কোলাকুলি থেকে বিরত থেকেছি। আমার গাড়ির জানালা পুরোটা সময় বন্ধ ছিল এবং আমি যত দ্রুত সম্ভব বাসায় ফিরে এসেছি। '
'কিন্তু বাইরে একটা অদ্ভুত বিষয় লক্ষ্য করলাম। আমি দেখলাম ৪ যুবক এক মোটরবাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তারা পিকনিকে যাচ্ছিল। মানুষ একসঙ্গে খাচ্ছে, অন্য জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছে। কেন রেস্টুরেন্টগুলো খোলা। কেন আমরা সেগুলো বন্ধ করছি না? ভারতে এখন লকডাউন চলছে। আর পাকিস্তানে আমরা ঘুরাফেরা বাদ দিতে পারছি না। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই শারীরিক সংস্পর্শের কারণে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু আমরা ঘরে থাকতেই চাই না। আমরা এসব কী করছি? এটা বিপজ্জনক। এটা অনেকটা মানুষের জীবন নিয়ে খেলার মতো ব্যাপার,' শেষ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এমএইচএম