ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

চলে গেলেন ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির জনক লুইস

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২০
চলে গেলেন ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির জনক লুইস ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ (বামে) এবং টনি লুইস (ডানে): ছবি-সংগৃহীত

ডি/এল বা ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির যৌথ উদ্ভাবকের একজন টনি লুইস মারা গেছেন। বুধবার (০১ এপ্রিল) রাতে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানায়, ৭৮ বছর বয়সে মারা গেছেন লু্ইস। 

ইসিবি জানায়, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, টনি লুইস (এমবিই) ৭৮ বছর বয়সে মারা গেছেন। ’ 

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে গাণিতিক হিসেব-নিকেশের জন্য সতীর্থ গণিতবিদ ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থকে নিয়ে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন টনি লুইস।

তাদের উদ্ভাবিত ফর্মুলা দিয়ে বৃষ্টি-বিঘ্নিত ক্রিকেট ম্যাচে যারা পরে ব্যাটিং করবে তাদের লক্ষ্য কত হতে পারে সেটি বের করা হয়।

১৯৯৯ সালে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আনুষ্ঠানিকভাবে ডি/এল পদ্ধতি কার্যকর করে। তবে ১৫ বছর পর এর নাম পরিবর্তন করে ২০১৪ সালে দেওয়া হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন বা ডিএলএস পদ্ধতি।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গণিতের অধ্যাপক স্টিভেন স্টার্ন আধুনিক ক্রিকেটের স্কোরিং-রেট বিবেচনায় মূল পদ্ধতির হিসাব হালনাগাদ করেন। তাই ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে প্রথমবারের মতো চালু হয় ডার্কওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতি।

১৯৯৭ সালের আগে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে চালু ছিল অদ্ভুত নিয়ম। যে নিয়মে মাঝেমধ্যেই অদ্ভুত সব হিসাব পাওয়া যেত। তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হয়ে আছে ১৯৯২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার  মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচটি। বৃষ্টি নামার আগে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ছিল ১৩ বলে ২২ রান। বৃষ্টি থামার পরে হিসাব এলো ১ বলে ২১ রানের! যার ফলে কপাল পুড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার।  

ডাকওয়ার্থ-লুইসের উদ্ভাবক ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থের কাছে ওই ম্যাচটি তাদের নতুন পদ্ধতি বের করতে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে (ধারাভাষ্যকার) ক্রিস্টোফার মার্টিন-জেনেকিন্সকে রেডিওতে বলছিলেন, নিশ্চয় কেউ কোথাও বসে এর চেয়ে ভালো কিছু বের করবে। এরপরই আমার কাছে মনে হলো যে, এই গাণিতিক সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন। ’

এই পদ্ধতির প্রথম কার্যকর করা হয় ১৯৯৭ সালে। জিম্বাবুয়েকে ২০০ রানে অলআউট করেছিল ইংল্যান্ড। পরে এই পদ্ধতিতে ইংলিশদের সামনে নতুন টার্গেট দাঁড়ায় ৪২ ওভারে ১৮৬ রান। ম্যাচটি ইংলিশরা হারে  ৭ রানে।

২০১০ সালে  ক্রিকেট ও গণিতে অবদান রাখার জন্য  ডাকওয়ার্থ ও লুইসকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পঞ্চম সম্মান এমবিই পদবি দেওয়া হয়

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
আরএআর/ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।