ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিফলে নাঈমের সেঞ্চুরি, জিতেই প্লে অফে বরিশাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
বিফলে নাঈমের সেঞ্চুরি, জিতেই প্লে অফে বরিশাল জিতেই প্লে অফে বরিশাল। ছবি: শোয়েব মিথুন

প্লে অফে খেলতে হলে জয়ের কোনো বিকল্প নেই, এমন এক সমীকরণ নিয়েই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার মুখোমুখি হয় ফরচুন বরিশাল। দিনের প্রথম ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাহশাহী হেরে যাওয়ায় বরিশালের সামনে হেরে গেলেও প্লে অফের সুযোগ তৈরি হয়।

তবে হারলেও সেক্ষেত্রে রান রেটের মারপ্যাচে পড়তে হবে। শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে ২ রানে হারিয়েই প্লে অফে ওঠে বরিশাল।

আফিফ হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটিং নৈপূন্যে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে। হেরেও প্লে অফে খেলতে হলে ঢাকার জয়কে ১৮.৩ ওভারে বেশি দীর্ঘায়িত করতে হবে বরিশালকে। শেষ পর্যন্ত সেই পরিসংখ্যানে ঢাকাকে রুখে দিয়ে ও ২ রানে হারিয়েই প্লে অফে ওঠে তামিমের বরিশাল। ৬ পয়েন্ট নিয়ে রাজশাহীকে পেছনে ফেলে প্লে অফে বরিশাল। অন্যদিকে এই পরাজয়ে ঢাকা কোয়ালিফায়ারে উঠতে ব্যর্থ হয়। এই বরিশালের বিপক্ষেই আগামী ১৪ ডিসেম্বর এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে ঢাকা।

ছবি: শোয়েব মিথুন

মিরপুরে আগে ব্যাট করতে নেমে আফিফ হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়ের শেষ দিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ঢাকা বেক্সিমকোর বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৯৩ রানের বিশাল সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নাঈম শেখের দারুণ সেঞ্চুরির পরও ৬ উইকেটে ১৯১ রান করে ঢাকা।

১৯৪ রানের বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয় ঢাকার। উদ্বোধনী জুটিতে ৫২ রান করেন নাঈম শেখ ও সব্বির রহমান। সাব্বির ১৯ রান করে বিদায় নেন। এরপর মুশফিকুর রহিম (৫) ও আল আমিন (০)  বিদায় দ্রুত নিলে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে নাঈম শেখ ও ইয়াসির আলী রাব্বি সেই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। রান রেটও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। নাঈম শেখ ৪টি চার ও ২টি ছয়ে ৪৩ বলে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। অর্ধশতকের পরই বিধ্বংসী হয়ে ওঠে নাঈমের ব্যাট।

ঢাকাকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে থাকে নাঈমের ব্যাট। দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন নাঈম। ৬০ বলে তিনি সেঞ্চুরি করেন। অর্থাৎ প্রথম অর্ধশতক তুলতে নাঈম যেখানে ৪৩ বল খেলেন, দ্বিতীর অর্ধশতক পেতে সেখানে নাঈম খেলেন মাত্র ১৭ বল।

ছবি: শোয়েব মিথুন

দলীয় ১৭২ রানে নাঈম ৬৪ বলে ১০৫ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে ১১০ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। ৮টি চার ও ৭টি ছয়ে সাজানো ছিল নাঈমের ইনিংস। এরপর রাব্বি ২৮ বলে ৪১ রান করে আউট হলে চাপে পড়ে যায় ঢাকা।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান। কামরুল ইসলাম রাব্বির করা সেই ওভারে আকবর আলী ১৪ রানের বেশি তুলতে পারেননি। ফলে ২ রানের দারুণ জয় পায় বরিশাল। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী শুভ ৩টি এবং সুমন খান ও রাব্বি ১টি করে উইকেট নেন।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাও দারুণ করেন বরিশালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তামিম ইকবাল। ৭.২ ওভারে তারা ৫৯ রানের জুটি গড়েন। তামিম আল-আমিনের বলে ব্যক্তিগত ১৯ রানে ফেরেন। মাঝে পারভেজ হোসেন ইমন ১৩ রানে মুকতার আলীর বলে বিদায় নেন।

ছবি: শোয়েব মিথুন

হাফসেঞ্চুরি করে রুবেল হোসেনের বলে আউট হন সাইফ। তিনি ৪৩ বলে ৮টি চারে ৫০ রান করেন। তবে এরপরেই শুরু হয় আফিফ ও হৃদয়ের পথচলা। এই জুটি ঝড়ো ব্যাট চালিয়ে ৯১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। আফিফ ২৫ বলে ১টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫০ করে অপরাজিত থাকেন। আর ২২ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন হৃদয়।

ঢাকার হয়ে রুবেল, আল-আমিন ও মুকতার একটি করে উইকেট দখল করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
আরএআর/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।