সিডনিতে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার আগে ক্রিকেটারদের জন্য সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এর আগেই মেলবোর্নে রোহিত শর্মাসহ ভারতীয় পাঁচ ক্রিকেটার রেস্তোরাঁয় গিয়ে জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙেছেন।
দাবি উঠেছে, এর আগে বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়াও একই কাজ করেছিলেন। তবে ওই ইস্যু এখন পর্যন্ত সেভাবে আলোচনায় না এলেও রোহিতদের বিষয়টা হালকাভাবে নেয়নি অস্ট্রেলিয়া। এ নিয়ে ভারত ও স্বাগতিক ক্রিকেট বোর্ডের মাঝে এখন তুলকালাম চলছে। কোয়ারেন্টিন নিয়েও তর্কে জড়িয়েছে দুই বোর্ড।
এরইমধ্যে রোহিতসহ পাঁচ ক্রিকেটারের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেই সবাই মেলবোর্ন থেকে সিডনিগামী বিমানে উঠেছেন। পৃথ্বী শ, শুভমন গিল, ঋষভ পন্ত, রোহিত শর্মা এবং নভদীপ সাইনির অধ্যায় শেষে অজি মিডিয়ার একাংশ দাবি করে, ভারতীয়রা নাকি কুইন্সল্যান্ডের কড়া আইসোলেশনের নিয়ম মেনে চতুর্থ টেস্ট খেলতে যাবে না। অবশ্য দুই বোর্ড বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে।
তারপরেও সমালোচনা থেমে নেই। এই যেমন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস কড়া ভাষায় ভারতীয় দলের সমালোচনা করলেন। বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অলরাউন্ডার বলেন, 'ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে কি আমাদের কোনো চুক্তি হয়েছে? আমার তো মনে হয় তারা (ভারত) সবার ওপর জোর খাটাতে চায়। কিন্তু কুইন্সল্যান্ড সরকার (এই রাজ্যেই চতুর্থ টেস্ট খেলবে ভারতীয় দল) যেসব বিষয়ে অনুমতি দেবে, ঠিক সেই বিষয়গুলোই তারা করতে পারবে। '
সিরিজের চতুর্থ ম্যাচের ভেন্যু কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের সরকার জানিয়ে দিয়েছে, কোনোভাবেই স্বাস্থ্য বিধিতে পরিবর্তন আনবে না। কুইন্সল্যান্ডে বর্তমানে কঠোর লকডাউন চলছে। ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু এখনকার ব্রিসবেন শহরের গাব্বাতে আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে চতুর্থ টেস্ট খেলবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। তবে ভারতের দাবি, টানা অনেকদিন জৈব সুরক্ষা বলয় এবং কোয়ারেন্টিনে থাকছেন ক্রিকেটাররা। এতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ছে। কিন্তু ভারতের এসব যুক্তি মানতে রাজি নয় সেখানকার কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, সিডনি থেকে কুইন্সল্যান্ডে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আছে। ফলে সফরকারী দলকে অবশ্যই কোয়ারেন্টিন মেনে চলতে হবে। ব্যাপারটা স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আপত্তি তুলেছে ভারত। তবে কুইন্সল্যান্ডের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জেনেট ইয়ং বলেছেন, 'আমরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করব না। কারো জন্যই এক্ষেত্রে ছাড় নেই। অসুরক্ষিত স্থানে ভ্রমণ করলেই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। '
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২১
এমএইচএম/এমএমএস