একদিন হাতে রেখে সিরিজের শেষ টেস্টেও জয় তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে তাদেরই মাটিতে হোয়াইওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছে ইংল্যান্ড। গলে প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটের পর দ্বিতীয় টেস্টে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে ইংলিশরা।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ওপেনার ডম সিবলির অপরাজিত ফিফটিতে ৪ উইকেটে ১৬৪ রান করে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। সফরকারীরা অধিনায়ক জো রুটের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৩৪৪ রানে।
সমতায় ফেরার আশা নিয়ে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু করে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৮১ রান করে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ভরাডুবি হয় তাদের। ৪টি করে উইকেট ভাগাভাগি করা ডম বেস ও জ্যাক লিচের বোলিং জাদুতে মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৪ রান।
৯ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। তবে চতুর্থদিনে স্কোরবোর্ডে আর ৫ রান যোগ হতেই অলআউট হয়ে যায় তারা। এরপর ৩৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে নিমিষেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় স্বাগতিকরা দলীয় তিন অঙ্কের ঘর পেরোনো সংগ্রহ পায় টেলএন্ডার ব্যাটসম্যান লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার ৪০ রানের ওপর ভর করে।
মামুলি লক্ষ্য পার হতে কোনো ঝামেলায় পরতে হয় ইংলিশদের। সিরিজে লঙ্কানদের সবচেয়ে সফল বোলার এম্বুলদেনিয়ার ঘূর্ণিতে শুরুতে ওপেনার জ্যাক ক্রলি (১৩) বিদায় নিলেও আরেক ওপেনার সিবলি ও জনি বেয়ারস্টোর (২৯) ব্যাট সেই চাপ সামাল দেয়। বেয়ারস্টোকেও ফেরান এম্বুলদেনিয়া। লঙ্কান স্পিনার ড্যানিয়েল লরেন্সকে (২) তৃতীয় শিকার বানিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার ১০ উইকেট নেওয়ার স্বাদ নেন। এর আগে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেন এম্বুলদেনিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৩ উইকেট।
লরেন্স ফেরার আগে রুট (১১) বিদায় নেন মেন্ডিসের বলে। তবে উইকেটরক্ষক জস বাটলারের সঙ্গে (৪৬) জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সিবলি। তার ১৪৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ২ চারে।
সিরিজের প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক রুট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
ইউবি