ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মুমিনুলদের ব্যাটিংয়ে অধৈর্য ব্যাপার দেখছেন সুজন

স্পোর্টস করেপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২১
মুমিনুলদের ব্যাটিংয়ে অধৈর্য ব্যাপার দেখছেন সুজন ছবি: শোয়েব মিথুন

পাকিস্তানের ৩০০ রানের ইনিংসে ৪জন হাফসেঞ্চুরি করেছে। আজহার আলী, বাবর আজম, ফাওয়াদ আলম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানরা পূর্ণ ধৈর্য দেখিয়ে ব্যাটিং করেছেন।

অথচ বাংলাদেশি ব্যাটাররা যেন টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেছেন। ফলে প্রথম ইনিংস ৭৬ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছেন।

সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে চরম ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ৩০০ রানে ঘোষণার পর বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৬ ওভারে দলীয় ৭৬ রানেই ৭ উইকেট হারায়।

ফলে ফলোঅন এড়ানো নিয়েই শঙ্কা জেগেছে স্বাগতিক শিবিরে। আর দিন শেষে ২২৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের মোট ১০১ রান করতে হবে। কিন্তু পাকিস্তানি স্পিনার সাজিদ খানের বিধ্বংসী স্পেলের পর এখন প্রশ্ন উঠেছে ৩ উইকেটে বাকি ২৫ রান কি তুলতে পারবে বাংলাদেশ? নাকি বৃষ্টি ও বাজে আবহাওয়ার কারণে প্রায় দুদিন খেলা না হওয়ায় এই টেস্টেও লজ্জার ফলোঅনে যেতে হবে মুমিনুলবাহিনীকে।

এদিকে একই দিন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ভারতে ত্রিদলীয় সিরিজ জিতেছে। এনিয়ে মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।

যুবাদের পাশাপাশি এদিন সুজনকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বাজে ব্যাটিং নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি ব্যাটারদের অধৈর্য ব্যাটিং করাকে দুষেছেন।

সুজন বলেন, ‘আমি উপর থেকে খেলা দেখেছি। কেন এমন হলো জানি না। অধৈর্য ব্যাপারটা ছিল, টেস্ট ব্যাটিং বলতে যা বোঝায় সেরকম তো ব্যাটিং করিনি আমরা। কেন এই ব্যাপারটা হচ্ছে সেটা চিন্তার বিষয়। উইকেটে স্পিন হচ্ছিল এবং ওরা ভাল স্পিনও করেছে কিন্তু কোয়ালিটি স্পিন খেলার সামর্থ্য আমাদের আছে। হয়নি কেন বা এত তাড়াহুড়ো কেন সেটা জানি না, আমরা তো জানি যে আজ সারাদিন ব্যাটিং করার ছিল, কালকের দিনটায় টেস্ট শেষ হবে। চারটা-সাড়ে চারটা সেশন হয়তবা। পাকিস্তান যেভাবে ব্যাটিং করেছে, বিশেষ করে আজহার আলী যেভাবে লম্বা সময় ব্যাট করলো সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত ছিল।  

সুজনের কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়, এই দল নিয়ে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে কি হবে?

জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নেতিবাচক কিছু বলব না। কারণ নিউজিল্যান্ডে তো অনেকবারই বাংলাদেশ খেলেছে। অতীত দেখলে কোনটাতেই আমরা নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারিনি। আর শুধু বাংলাদেশ না, এশিয়ার যে কোনো দলের জন্যই নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন কঠিন হয়। কিন্তু এটা অজুহাত না, আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। প্রথম টেস্টে হারলেও আমরা কিছু জায়গায় ভুল করেছি দ্বিতীয় ইনিংসে ফেইল করেছি। আর দলটাকেও যদি দেখেন – বড়রা নেই, তরুণরা আছে। তো টেস্টকে – টেস্ট বলে কেন? এটা তো ধৈর্যের খেলা। এখানে ধৈর্যটা দেখাতে হবে। নিউজিল্যান্ড কন্ডিশন কঠিন হবে আমি নিজেও তা স্বীকার করছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।