ঘরের মাটিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর অনেক আশা নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গিয়ে একপ্রকার খালি হাতে ফিরেছে টাইগাররা। এরপর ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর দল ও টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে নানা ধরনের পরিকল্পনা। তবে এসবের মাঝেই মেজাজ হারালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন!
মুশফিকুর রহিম টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব ছেড়েছেন অনেক আগেই। তবে মুশফিকের দাবি তিনি স্বেচ্ছায় ছাড়েননি, রীতিমতো বাধ্য হয়েছেন। প্রসঙ্গটি নতুন করে উঠে আসায় রেগে যান পাপন। শনিবার বিকেএসপিতে এক অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন পাপন, সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, মুশফিকের কিপিং গ্লাভস কেড়ে নেওয়া কারণ কী?
মেজাজ হারিয়ে পাপন বললেন, ‘কিপিং গ্লাভস কেড়ে নেওয়া হয়েছে এটার মানেটা কী? অন্য কোনো খেলোয়াড় কেমন কিপিং করে আমরা কি দেখতে পারবো না? যেই করুক, কোচও যদি করে, ও কি এটা যাচাই করতে পারে না যে আমার আর কি অপশন আছে? একটা দুইটা ম্যাচ করলে অসুবিধাটা কী? ভেতরের খবর তো আপনারা বলেন। আপনারা যখন প্রচার করেন তখন এটা উল্টো হয়। এটা তো সব খেলোয়াড়ের জন্যই থাকা উচিত। ’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ শেষ বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানান, এই ফরম্যাটে আর কোনদিনই কিপিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে দল। ২৫ দিন পর উল্টো কথা শুনিয়েছেন মুশফিক। যদিও এরপর থেকে আর গ্লাভস হাতে নেননি। তখন থেকে নুরুল হাসান সোহান সামলাচ্ছেন এই দায়িত্ব।
পাপনের ব্যাখ্যা, ‘আমি যদি একজনের জায়গায় আরেকজনকে দেখতে চাই তাতে অসুবিধা কী? তার পজিশন তো নষ্ট হচ্ছে না। সোহান যে কিপিং করল, ও কি খারাপ করছে? অবশ্যই সে সেরা। ’
সঙ্গে যোগ করেন তিনি, ‘একটা জিনিস তো জানি, আমাদের সেরা কিপার এখন সোহান। ও যদি না করত এটা কীভাবে দেখতাম? আপনারা যদি কাউকে সুযোগই না দেন বা সুযোগ দিলে মাইন্ড করেন তাহলে তো মহাবিপদ। তাহলে তো নতুন কোনো খেলোয়াড়ই আসবে না। এটাতে আমি একমত না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২১
এমএমএস