ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

৪৭ টেস্টে পর পেসারদের অপেক্ষার অবসান করলেন ইবাদত

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২২
৪৭ টেস্টে পর পেসারদের অপেক্ষার অবসান করলেন ইবাদত

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের লিড আর নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ রানে অলআউট করে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৪০ রান।

সেই লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান মুমিনুল-মুশফিকরা। এর ফলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে টেস্টে প্রথম জয়তো বটেই, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও বাংলাদেশ পেল প্রথম জয়।

শেষ দিনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাধা ছিলেন রস টেইলর। দিনের শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত সেই উইকেট বাংলাদেশকে এনে দিলেন ইবাদত হোসেন চৌধুরি। এই ম্যাচে দলের চাওয়া যেমন পূরণ করলেন তিনি, তেমনি অবসান হলো দেশের ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের এক অপেক্ষারও।

 নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের শেষ দিন সকালে টেইলরকে আউট করে ইবাদত পূর্ণ করলেন ৫ উইকেট। সব মিলিয়ে ৪৬ রানে তার শিকার ৬ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে তার প্রথম তো বটেই, প্রায় ৯ বছর ও ৪৭ টেস্ট পর টেস্টে ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন বাংলাদেশের কোনো পেসার। ২০১৩ সালে রবিউল ইসলাম শিপলুর পর প্রথম পেসার হিসেবে ইবাদত পেলেন ফাইফার।

দেশ-বিদেশ মিলিয়ে তার চেয়ে ভালো বোলিং ফিগার আছে কেবল আরেকজন পেসারের। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ২৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন। ২০১৩ সালে এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে সফরে পরপর দুই টেস্টে অসাধারণ সুইং বোলিংয়ের প্রদর্শনীতে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। এরপর বাংলাদেশের আর কোনো পেসার পারছিলেন না এই মাইলফলক ছুঁতে। এই সময়টায় ৩ দফায় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ চৌধুরি, দুইবার করে মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। কিন্তু ৫ উইকেট আর হচ্ছিল না।

অবশেষে ইবাদতের হাত ধরে কাটল সেই খরা। অথচ এই টেস্টের আগে তার উইকেট ছিল ১০ টেস্টে মাত্র ১১টি। বোলিং গড় ছিল ৮১.৫৪, ১০টির বেশি উইকেট শিকারিদের মধ্যে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে গড় যা। সেই তিনিই এবার উপহার দিলেন অসাধারণ বোলিং।  

ইবাদতের এই স্বপ্নযাত্রা শুরু হয় চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনে। টানা ৯ ওভারের স্পেলে ২৩ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। এরপর শেষ সেশনে অসাধারণ এক স্পেলে তিনি ঘুরিয়ে দেন ম্যাচের মোড়ই। ৭ বলের মধ্যে ৩ উইকেট নেন ওই স্পেলে। সব মিলিয়ে স্পেলটি ছিল ৭-৩-১৫-৩। ৪ উইকেট নিয়ে শেষ দিন শুরুর পর আরেকটি উইকেটের জন্য অপেক্ষা খুব একটা করতে হয়নি। দিনের দ্বিতীয় আর নিজের দ্বিতীয় বলেই ধরা দেয় সেই উইকেট। ভেতরে ঢোকা দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন অভিজ্ঞ টেইলরকে। ষষ্ঠ শিকার জেমিসন আউট হন শর্ট মিড উইকেটে শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত ক্যাচে।  

বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব আগে ছিল স্রেফ ৪ জন পেসারের। সর্বোচ্চ ৪ বার নিয়েছেন শাহাদাত হোসেন, রবিউল ইসলাম ২ বার। একবার করে মঞ্জুরুল ইসলাম ও রুবেল হোসেন। নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো পেসারের ৫ উইকেট ছিল একটি। ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে বেদম মার খেয়ে ১৬৬ রানে ৫ উইকেট নিতে পেরেছিলেন রুবেল হোসেন। ইবাদত এবার তাকে পেছনে ফেললেন অনেকটা ব্যবধানে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২২
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।