ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

জুটি ভেঙে ব্রেকথ্রু এনে দিলেন শরিফুল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২২
জুটি ভেঙে ব্রেকথ্রু এনে দিলেন শরিফুল

বাংলাদেশের দেওয়া ৩১৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১২১ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বশেষ জুটি ভেঙে ব্রেকথ্রু এনে দিলেন শরিফুল ইসলাম।

অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে ফেরান তিনি।  

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৭ ওভার ৪ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ১২৩ রান।

দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের শুরুতেই ওপেনার জানেমান মালানকে হারায়। শরিফুল ইসলামের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে ৪ রান সংগ্রহ করে বিদায় নেন তিনি। পরে দলীয় অষ্টম ওভারে জোড়া আঘাত করেন তাসকিন। ওভারের প্রথম বলে ডানহাতি এই পেসার  ওপেনার কায়েল ভেরেয়ানেকে (২১) এলবির ফাঁদে ফেলেন। আর চতুর্থ বলে এইডেন মার্করামকে শূন্য রানে মেহেদি হাসান মিরাজের ক্যাচ বানান।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও রাসি ফন ডার ডাসেন ১০৭ বলে ৮৫ করে শুরুর বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন শরিফুল। ৫৫ বলে ৩১ করা এই ব্যাটারকে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমে গ্লাভবন্দি করান তিনি।  

এর আগে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন লিটন দাস, সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলী। এই তিন ব্যাটারের অর্ধশতকে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকে হারিয়ে ৩১৪ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। দুইবার করে নিজেদের সেরা জুটির রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকায় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহও পেয়েছে সফরকারীরা।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) সেঞ্চুরিয়নে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। সমান তালে এগোতে থাকা এ দুই ব্যাটার স্কোর বাড়াতে থাকেন। ১০ ওভার শেষে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৩৩ রান আসে বাংলাদেশের। দলীয় ৫০ রান পূর্ণ হয় ষষ্ঠদশ ওভারের প্রথম বলে। ৯১ বলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ পান তামিম-লিটন।  

২২তম ওভারে এসে অ্যান্ডিল ফেহলুকায়োর বলে এলবিডব্লিউ হন তামিম ইকবাল। ৬৭ বল খরচায় ৪১ রান করে বিদায় নেন তিনি। তামিমের পর লিটনও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। ৬৬ বলে অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পরের বলেই কেশব মহারাজের শিকার হন তিনি।  

লিটনকে বোল্ড করার পর নিজের ২৯তম ওভারে মুশফিককে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান কেশব মহারাজ। লেগে ডেভিড মিলারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৯ রানে বিদায় নেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

মুশফিকের বিদায়ের পর সাকিবকে সঙ্গ দেন ইয়াসির আলী। পেহলুকায়োর বলে ছক্কা হাকিয়ে ৫০ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন সাকিব। ৭২ বলে শতরানের জুটি গড়েন ইয়াসিরের সঙ্গে। অপরপ্রান্তে থাকা ইয়াসির ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৪৩ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এরপর ঝড়ো ব্যাট করতে থাকা সাকিব লুঙ্গি এনগিদির বলে এলবিডব্লিউ হন। ৬৪ বলে ৭৭ রান করে বিদায় নেন তিনি।  

সাকিবের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি ইয়াসিরও। ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে রাবাদার বলে উইকেট হারান তিনি। ব্যাট করতে নামা আফিফও ১৭ রান সংগ্রহ করে বিদায় নেন। এরপর মারমুখি থাকা মাহমুদউল্লাহ উইকেট হারান ১৭ বলে ২৫ রান করে। শেষদিকে এসে ঝড়ো ইনিংস খেলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩১৫ রানের লক্ষ্য দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ১৩ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অপরপ্রান্তে ৫ বলে ৭ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আহমেদ।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে জোড়া উইকেট পান মার্কো জেনসেন ও কেশব মহারাজ। বাকি বোলাররা একটি করে উইকেট তুলে নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২২
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।