ক্যানসারে আক্রান্ত জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ রুবেল মারা গেছেন। আজ বিকেল ৫টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইউনাইটেড হাসাপাতালে নেওয়া হয় রুবেলকে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে প্রায় তিন বছর ধরে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন জাতীয় দলের এ বাঁহাতি স্পিনার।
২০১৯ সালে রুবেলের ব্রেন টিউমার শনাক্ত হয়েছিল। এরপর তিনি পাড়ি জমান সিঙ্গাপুরে। সেখানে দফায় দফায় চলছিল কেমোথেরাপি। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে রুবেলের অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। এরপর দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু কেমো এবং রেডিও থেরাপির জন্য তাকে নিয়মিত সিঙ্গাপুর যাওয়া-আসার মধ্যে থাকতে হতো। ওই বছরের ডিসেম্বরে সর্বশেষ কেমো দেওয়া হয়। এক বছর ফলোআপে ছিলেন তিনি।
২০২০ সালে সুস্থ, স্বাভাবিক হয়ে মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রুবেল। কিন্তু নভেম্বরে আবার অসুস্থ হন। ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এমআরআই করার পর দেখা গেছে, পুরনো টিউমারটি আবার নতুন করে বাড়ছে। তারপর থেকে আবার শুরু হয় কেমোথেরাপি। সব মিলিয়ে ২৪টি কেমোথেরাপি নিয়েছিলেন রুবেল। গত কিছুদিন রাজধানীর একটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করলেন তিনি।
২০০৮ সালে মোশাররফ রুবেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে খেলে ১ উইকেট পান। এরপর দীর্ঘদিন দলের বাইরে ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে ফের দলে সুযোগ পান রুবেল। কিন্তু কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেয়ে আবার বাদ পড়েন।
২০১৬ সালে আফগানিস্তান সিরিজে রুবেলকে ডাকেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আট বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নেমে ৩ উইকেট পাওয়ার পাশাপাশি দলকে জেতাতে বড় ভূমিকাও রাখেন তিনি। কিন্তু পরের ম্যাচে উইকেট না পাওয়ায় ফের বাদ পড়েন। সেই থেকে জাতীয় দলে আর ফেরা হয়নি তার।
তবে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেটে মোটামুটি নিয়মিত মুখ ছিলেন রুবেল। ২০১৯ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২২
এমএইচএম