সকালে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে শুরু দিনের। মেঘলা দিনে ম্যাচের পরিস্থিতিও ছিল গোমট।
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায়ই অবশ্য সাফল্য এনে দেন এবাদত হোসেন। এরপর সাকিব আল হাসান করেন যেকোনো অফ স্পিনারের স্বপ্নের ডেলেভারি। কিন্তু এরপরই বাকিটা সময় স্বাচ্ছন্দ্যে কাটিয়ে দিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। ধনঞ্জয়া ৩০ ও ম্যাথিউস অপরাজিত আছেন ২৫ রানে। বাংলাদেশের চেয়ে এখনও ১৫৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা।
সকালে কাসুন রাজিথাকে ফেরান এবাদত হোসেন। তার অফ স্টাম্পে পড়া লেন্থ বল আঘাত হানে রাজিথার স্টাম্পে। ১২ বলে ০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। তার বিদায়ের পর বাংলাদেশকে বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি।
আগের দিন শেষ বিকেলে কুশল মেন্ডিসকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশকে স্বস্তিতে রেখে দিনশেষ করেছিলেন তিনি। আজও সকালটা রাঙালেন তিনি। রাজিথাকে ফেরালেও অস্বস্তি হয়েছিলেন করুণারত্নে।
তাকে প্রথমে কয়েকটি বলে ‘সেট আপ’ করে নেন সাকিব। এরপরই করেন নিজের স্বপ্নের বলটি। রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে করুণারত্নেকে ড্রাইভ খেলতে আমন্ত্রণ জানান সাকিব। করুণারত্নে সেটি খেললেও ব্যাট ও প্যাডের মাঝখানে ফাঁকা জায়গা থেকে যায়।
অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল টার্ন করে ওই জায়গা দিয়ে গিয়েই স্টাম্পে আঘাত হানে। ১৫৫ বলে ৮০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান করুণারত্নে। কিন্তু এরপর বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই বাকিটা সময় পাড় করেন ধনঞ্জয়া ও ম্যাথিউস। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করলেও ততক্ষণের লাঞ্চের সময় হয়ে গিয়েছিল। আম্পায়ারও তার ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
এমএইচবি/এমএইচএম