খালেদ মাহমুদ সুজনই প্রথম তুলেছিলেন প্রসঙ্গটা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বিদেশি খেলানোর চিন্তার কথা জানান তিনি।
টেস্টে বাংলাদেশ ভালো না করলেই দায়টা ঘরোয়া ক্রিকেটের উপরে আসে। বিশেষত প্রশ্ন ওঠে উইকেটের মান নিয়ে। কিন্তু পিচ বদলে পেসাররা বেশি উইকেট পেলেই কী ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বেড়ে যাবে? এমন প্রশ্নও থাকে।
জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা প্রথম শ্রেণিতে খেলেন না, প্রতিদ্বন্দ্বীতার মান নিয়ে তাই প্রশ্ন থেকে যাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিদেশের অনেক ক্রিকেটারই শুধু লাল বলের ক্রিকেট খেলেন, তাদের আনলে দেশের ক্রিকেটারদের জন্যও সেটি হতে পারে কার্যকরী; এমন মনে করছেন মাশরাফি।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বিদেশি ক্রিকেটার হতে পারে। আপনার এই প্রস্তাব খারাপ না। আমাদের তো শেফিল্ড সিল্ড, কাউন্টি বা রঞ্জি ট্রফির মতো ঘরোয়া ক্রিকেট শক্ত হয়নি। সে ক্ষেত্রে শক্ত করার জন্য একজন বিদেশি এলাউ করলে খারাপ না। ’
‘আপনি যেটা বললেন কতটুকু এগিয়েছে- আমি মনে করি না পিছিয়েছে। তবে হ্যাঁ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও তো আরও আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের ম্যাচ থাকায় না খেললেও এটাই তো খেলোয়াড় তৈরির জায়গা। আমাদের যারা স্থানীয় ক্রিকেটার খেলছে তাদের মাঝ থেকেই তো খেলোয়াড় উঠে আসবে। ’
ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা সহজ। কিন্তু আদতে এখনও ক্রিকেটাররা ওঠে আসেন এখান থেকেই, স্বাভাবিক কথাটি মনে করিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি। তাই সব মিলিয়েই টেস্টে ভালো করতে দরকার এর মান বাড়ানো। মাশরাফি বলছেন, ২-৩ জন ক্রিকেটার বেড়িয়ে আসলেও ব্যাপারটা খারাপ না।
তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দল জাতীয় দলের জায়গায় থাকবে। কিন্তু এই খেলাগুলো চলমান থাকলে দুই একজন ক্রিকেটার ওখান থেকে পাবেনই। ২-৩ মৌসুম পরে ৮-১০ জন খেলোয়াড় বের করার চিন্তা করলে হবে না। ২-৩ মৌসুম পরে যদি একজন সলিড ক্রিকেটার পান, যে কি না আপনাকে ১৫ বছর সার্ভিস দেবে। আপনার ফোকাস থাকবে এরকম। ’
‘এগুলো ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আরও ১০০ বছর আগে করেছে। ভারত ৩০ বছর আগে করেছে এখন ফল পাচ্ছে। এখন আমরা শুরু করলে আমরাও পাবো। আমাদের ভালো সম্ভাবনা আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
এমএইচবি/আরইউ