শুরুটা দারুণই হয়েছিল বাংলাদেশের। ৬৭ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে।
মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ১৫৭ রান, ৮ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের এই লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের জয় পায় নুরুল হাসান সোহানের দল। শেষ ম্যাচটি তাই সিরিজ নির্ধারণী।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ের শুরুটা একদম মন্দ হয়নি। তবে রেজিস চাকাভা ও ক্রেইগ আরভিনের ২৯ রানের জুটি ভেঙে যায় নাসুম আহমেদের কল্যাণে। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে ১৭ রান করে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান চাকাভা।
এরপর এক ওভারেই জোড়া সাফল্য পেয়ে জিম্বাবুয়েকে চাপে ফেলে দেন মাহেদী হাসান। প্রথমে ৮ বলে ৫ রান করা ওয়েসলি মাদাভিরাকে বোল্ড করেন দারুণ এক বলে। এরপর সিকান্দার রাজাকে প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে।
৮ বলে ২ রান করে আউট হন শেন উইলিয়ামসও। বাজে শটে মোসাদ্দেকের বলে এই ব্যাটার ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। অনেক্ষণ ধরে ক্রিজে থাকা অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনও সুবিধা করতে পারেননি খুব একটা। ২৭ বলে ২৪ রান করে তিনি আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রথম বলেই।
তার বিদায়ের পরই যেন পথ খুঁজে পায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। নাসুমের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারে চড়াও হন রায়ান বার্ল। ৫ ছক্কার সঙ্গে ১ চারে নাসুমের ওই ওভারে তিনি নেন ৩৪ রান। এরপরও নিজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন বার্ল, তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন লুক জঙ্গে।
বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে বাউন্ডারি মারতে থাকেন তারা। শেষ অবধি দুজনের জুটি থেকে আসে ৭৯ রান। ২০ বলে ৩৫ রান করা লুক জঙ্গেকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। এরপর ভয়ঙ্কর হওয়া বার্লকেও আউট করেন এই তরুণ পেসার।
তার বলে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ২৮ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ ও মাহেদী হাসান।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৩০, আগস্ট ২, ২০২২
এমএইচবি